তালতলীতে পানি বন্ধী হয়ে ১৫ টি পরিবারের অর্ধশতাধিক মানুষ, প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ

প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০২০

আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি ।। বরগুনার তালতলী উপজেলার দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামে প্রবহমান খাল বদ্ধ জলাশয় দেখিয়ে বেনামে বন্দোবস্ত নিয়ে বাঁধ দিয়ে ঘেড় বানিয়ে মাছ চাষ করায় অতিবর্ষনের পানি জমে ঘড় বন্দি হয়ে পরেছে ১৫ পরিবার। পুকুর উঠান রান্নাঘর এমনকি বাড়ি ঘড়ে এখন প্রবেশ করায় গত ৩দিন ধরে রান্না বন্ধ থাকায় ওই পরিবারের নারী শিশুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঝাড়াখালী গ্রামের শাহজাহান খান তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী মৌজার আলীরবন্দর প্রবাহ মান খাল খাস খতিয়ান দেখিয়ে ১০৭০, ২৫০২ ও ৩১০৬ নং দাগের ১একর জমি ২০০৬ সালে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগদখল করে আসছে।

এবছর ওই খালে বাঁধ দিয়ে ঘেড় বানিয়ে মাছ চাষ করে। চলতি সপ্তাহে অমাবশ্যার জোয়ারের কারনে অতিবৃষ্টির পানি জমে দক্ষিন ঝাড়াখালী গ্রামের মন্নান খান, আইউব আলী মাস্টার ও তোতা মিয়াসহ ১৫ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় তলিয়ে রয়েছে তাদের পুকুর, উঠান, রান্না ঘরসহ বাড়ি ঘড়। চলাফেরায় কষ্টসহ সন্তান সন্ততি নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটছে তাদের। ওই ১৫ পরিবারের অভিযোগ, প্রবাহ মান খঅলে বাঁধ দিয়ে ঘেড় ককরে মাছ চাষ করায় এখন বৃষ্টিসহ জোয়ারের পানি চলাফের করতে পারে না। ফলে পানি জমে রয়েছৈ। এদেত আমাদের বাড়ি ঘড় হাটু সমান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এমনকি রান্নার ঘড় বসত ঘড় ও বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে থাকায় এখন বাড়ির মধ্যে পানির কারনে কেউ চলাফেরা করতে পারে না। বাড়িতে পানি জমে থাকায় গত ৩ দিন ধরে ১৫টি পরিবারের রান্না বন্ধ রয়েছে। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে উপোষ করে কাটাতে হচ্ছে ১৫ টি পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। অবিলম্বে খালটি কেটে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ১৫টি পরিবারের লোকজন।

এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, প্রবাহমান খালটি বদ্ধ দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে লিজ এনে এখন ঘেড় তৈরী করে মাছ চাষ করায় বিপদে পড়েছে স্থানীয় দরিদ্র ১৫টি পরিবার। দ্রুত এই রিলটি বাতিল করে পানিতে তলিয়ে থাকা মানুষ জনদের বাঁচানোর দাবী জানান তারা। এ বিষয় শাহজাহান খানকে না পাওয়ায় তার পুত্র শাহিন খান জানান, পরিবারগুলো পানি বন্দি আমাদের মৎস্য ঘেরের কারনে নয়। এ ছাড়াই ওই পরিবারগুলো পানি বন্দি রয়েছে। আমাদের ঘের পর্যন্ত পানি আসলে বাঁধ কেটে পানি নামিয়ে দেব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, বলেন বিষয়টি মুঠোফোনের মাধ্যমে জেনেছি। ভুক্তভোগীদের নিকট থেখে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :