করোনাভাইরাস: আক্রান্তে চীনের কাছাকাছি বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২ জুন ২০২০

ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ৩ হাজার ৪৭১ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাতে ভাইরাসটির উৎপত্তি দেশ চীনের অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে বাংলাদেশ। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। অল্প সময়েই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করে। কভিড-১৯ নামক রোগে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই পর্যুদস্ত। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৭৬ লাখ; এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ২৪ হাজার মানুষের।

তবে সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে করোনার আঁতুড়ঘর চীন। আন্তর্জাতিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় চীনের বর্তমান অবস্থান আঠারোতম। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১২ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৬৪ জন। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এদিন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৫২৩ জনে। অর্থাৎ চীন থেকে মাত্র ১ হাজার ৫৪১ জন কম আক্রান্ত নিয়ে ঊনিশতম আছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় আক্রান্তের তালিকায় চীনকে টপকে যাওয়াটা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।

করোনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ ছুটি উঠিয়ে নেওয়া এবং যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাড়ছে বেশি। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়ায় গত ২৮ মে। পরের দশ হাজার রোগী শনাক্ত হতে সময় লাগে মাত্র চার দিন। অর্থাৎ ২ জুন দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়ে যায়।আরও ১০ হাজার রোগী যোগ হয় ৫ জুনের মধ্যে; এদিন দেশে কভিড-১৯ রোগী ছিল ৬০ হাজার ৩৯১ জন। চার দিনে যুক্ত হয় ১১ হাজারের বেশি রোগী। অর্থাৎ ৯ জুন দেশে করোনা আক্রান্ত দাঁড়ায় ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে। সবশেষ তিন দিনে যুক্ত হলো আরও প্রায় ১০ হাজার রোগী।

সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতেও রেকর্ড হয়েছে দেশে, ৪৬ জন। তাতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫ জন। গত ২০ এপ্রিল দেশে কভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। সেই জায়গা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০১ জনে দাঁড়ায় ২৫ মে। সময় লাগে এক মাস পাঁচ দিন। মৃত্যুর সংখ্যা বাকি ৫০০ হয় আরও দ্রুত গতিতে। মাত্র ষোলো দিনে নতুন ৫১১ মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়ায় ১০ জুন। এক হাজার ১২ জন থেকে সংখ্যাটি ১ হাজার ৯৫ এ দাঁড়াল মাত্র দুই দিনে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১.৭১ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.১৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ।

 

আপনার মতামত লিখুন :