এই মুহুর্তে বাস-লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, তেলের দাম কমান, চাদাঁবজি বন্ধ করুন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশিত : ২৯ মে ২০২০

ঢাকা: করোনা মহামারীর এই দুর্যোগে গণপরিবহন বিশেষ করে বাস-লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি না করে জ্বালানী তেলের দাম কমানো ও পরিবহনে চাদাঁবাজী বন্ধের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ ২৯ মে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহারিয়ে নিধারুণ আর্থিক সংকটে থাকা জনগনের উপর বর্ধিত ভাড়া চাপিয়ে দেয়া হলে “মরার উপর খড়ার গাঁ” এ পরিণত হবে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, যেকোন সংকটে বা অজুহাতে দেশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ালে তা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর কোন নজির নেই। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ ছুটিতে থাকা সাধারণ মানুষজন এখন এক ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পতিত, তাই অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান হারে ভাড়া আদায় করে পরিবহন সেবা চালু রাখতে পারে তার জন্য গণপরিবহন চালুর আগেই জ্বালানী তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার দাবী জানান তিনি।

বিবৃতিতে দাবী করা হয়, বিশ্ববাজারে বহু আগেই তেলের দাম কমেছে। দেশে দীর্ঘদিন যাবত কম মূল্যে জ্বালানী তেল কিনে চড়া দামে বিক্রি করে বেশ মুনাফা অর্জন করেছে বিপিসি। বর্তমানে দেশের রিজার্ভারগুলোতে উপচে পড়া জ্বালানী তেল মজুদের খবর ইতিমধ্যে গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।

অন্যদিকে, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস-মিনিবাস দৈনিক গড়ে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা কোথাও ২০০০ টাকা পর্যন্ত চাদাঁ দিতে হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে। প্রতিটি লেগুনা দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা চাদাঁ দিয়ে চালাতে হয়। এইভাবে প্রতিটি গণপরিবহন দৈনিক গড়ে যে পরিমাণ চাদাঁ দেয় তা রোধ করার পাশাপশি সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানী সরবরাহ নিশ্চিত করলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতায়াত সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এছাড়াও লঞ্চ পরিচালনার ক্ষেত্রে একমাত্র উপকরণ জ্বালানী তেলের মূল্য কমানো হলে ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে গড় বোঝাইয়ের অর্ধেক যাত্রী নিয়েও লাভজনক ভাবে যাতায়াত সম্ভব।

সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ খালি সিট ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও প্রতিটি বাস-মিনিবাসে ১০ থেকে ১৫টি অতিরিক্ত আসন সংযোজন করা আছে। এসব বিষয়সমুহ এই সংকটকালীন মুহুর্তে বিবেচনায় নিলে সড়ক ও নৌ-পথের কোন পরিবহনে ভাড়া না বাড়িয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী লাভজনকভাবে অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতায়াত সম্ভব বলে দাবী করেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :