মনিরামপুরের বাদী আব্দুল আলী ও নাজমা বেগমের অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট

প্রকাশিত : ১৮ মে ২০২০

মোঃ রাসেল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: যশোর জিলার মনিরামপুর উপজিলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের খরিঞ্চা উত্তরপাড়া গ্রামে জমি জমা বিষয়ে একে অপরের প্রতি দন্ধের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার ১৭ ই মে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানা যায়,বাদী পক্ষ আব্দুল আলী এবং নাজমা বেগম বিবাদী পক্ষের আলাল,জালাল এবং হাফিজুরের নামে উপরোক্ত অভিযোগ এনে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে বিবাদী পক্ষ খড়িঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সংবাদ সন্মেলনও করেছেন। সেখানে বিবাদী পক্ষ হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,ঐ গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক তবিবর রহমান। লিখিত বক্তব্যে দাবী করে মিথ্যা তথ্য ও তথ্য প্রদানকারী বাদী পক্ষগনের বিরুদ্ধে ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানান এলাকাবাসী।

অবিলম্বে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহনেরও জোর দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।সংবাদ সন্মেলনের ঐ বৈঠকটিতে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন-খেদাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক-গোকুল চন্দ্র মন্ডল,৪নং ওয়ার্ড মেম্বর-আব্দুল জব্বার,মহিলা মেম্বর শারমিন সুলতানা লাকী,৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি-হাফিজুর রহমান গাজী,সহ-সভাপতি-কাউছার আলী গাজী,হাবিবুর রহমান,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক-রনজিত মন্ডল,ডাঃনারায়ন চন্দ্র গোস্বামী,রহমত আলী,আতাউর মোড়ল,কুদ্দুস,সানাউল্লাহ,শাজাহান ফকির, ফারুখ হোসেন প্রমূখ।

এদিকে বাদী আব্দুল আলী ও নাজমা বেগম একই গ্রামের হাফিজুর , আলাল ও জালাল এর বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদী আব্দুল আলী ও নাজমা বেগম অভিযোগ পত্রে বলেছেন, খরিঞ্চা উত্তর পাড়া গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল আলীর বাড়ী থেকে রাস্তায় উঠার পথটি নাকি জোর পূবক বন্দ করে দিয়েছে।

এবং এলাকায় জমি-জমা বিরোধ মিমাংসার নামে নিরব চাঁদা বাজি ও অর্থ বানিজ্য করে আসছে। স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য শালিশী বৈঠক বসলেও কোথাও কোন সমাধান হতে দিচ্ছে না বিবাদীপক্ষ-আলাল,জালাল ও হাফিজুর।বিবাদী পক্ষ দাবী প্রথম পক্ষের অভিযোগ গুলো ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগ। যা এলাকার নফদর্পনে রয়েছে।অথচ তারা একের পর এক বিভিন্ন মিডিয়ায় আমাদের নামে ভিত্তিহীন তথ্য লিখে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

এ ব্যাপারে খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ খায়রুল আলমের সাথে দেখা করে তিনি সাংবাদিকদের জানালেন, বিষয়টি নিয়ে রমজান শেষে ঈদের পর ঐ এলাকার চেয়ারম্যান,মেম্বর এবং ঐ গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি বৈঠক করার আশ্বাস দেন।তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের মধ্যে দন্ধ-ফ্যাসাদ এর সৃস্টি হউক পুলিশ প্রশাসন তা কখনই চায় না বলে জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :