মৌলভীবাজারে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল শুনানীর মাধ্যমে জামিনের দরখাস্ত নিষ্পত্তি
প্রকাশিত : ১৫ মে ২০২০
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: মহামারী কোভিড-১৯ রোধকল্পে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতকরণ ও শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারকার্য পরিচালনার লক্ষ্যে আজ ১৪ মে প্রথম বারের মত মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল শুনানীর মাধ্যমে আদালত পরিচালনা করে জামিনের দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করেন। প্রধান বিচারপতি‘র জারীকৃত ‘বিশেষ প্রাকটিস নির্দেশনা’ মোতাবেক মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে গত ১১ মে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুইটি আদালতে জামিনের দরখাস্তের ভার্চুয়াল শুনানী চলমান আছে।
আদালত সুত্রে জানা গেছে- প্রথম জামিনের দরখাস্তটিতে জেলা আইনীজীবী সমিতির সদস্য বিজ্ঞ কৌঁসুলি মোঃ মাহবুবুল আলম (শামীম)-২ কর্তৃক জি.আর-৮৯/২০২০ (কুলাউড়া) নং- মামলার হাজতী আসামী মুহাইমিন ও মোহাম্মদ-এর পক্ষে জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানী করেন। উক্ত শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষে সি.এস.আই মোঃ জামাল আহম্মেদ অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান হাজতী আসামী মুহাইমিন-এর জামিনের আবেদন নামঞ্জুরের ও হাজতী আসামী মোহাম্মদ-এর জামিনের আবেদন মঞ্জুরের আদেশ প্রদান করেন।
এছাড়া, মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির অধীনস্থ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বড়লেখা চৌকি আদালতের বিচারক হরিদাস কুমার তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল শুনানীর মাধ্যমে হাজতী আসামীদের জামিনের দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করেন। ইতোমধ্যে ৬জন হাজতী আসামী জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। আইনজীবীগণ ই-মেইল অথবা ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মামলায় হাজতী আসামীদের জামিনের আবেদন করেছেন, যা শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। জামিনের আদেশপ্রাপ্ত আসামীদের মুক্তির নিমিত্তে জেল সুপার, জেলা কারাগার, মৌলভীবাজার বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে মুক্তিপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য- যে, বিচারক নিজের অফিস কক্ষে, আইনজীবীরা নিজের বাসা বা কার্যালয়ে আর আসামী আছেন কারাগারে। সবাই ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে থেকেও চলছে আদালতের কার্যক্রম। নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন জেলার আইনজীবীরা। মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ সভাপতি রমা কান্ত দাশগুপ্ত ও বিজ্ঞ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম রুহেল এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভার্চুয়াল শুনানীকার্যে আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন।