২৫ রমজানের মধ্যে এপ্রিলের বকেয়া বেতন, মে মাসের ১৫ দিনের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে হবে

প্রকাশিত : ১৩ মে ২০২০

আজ ১৩ মে ২০২০ইং রোজ বুধবার সকাল ১১.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাংলাদেশ কনফারেশন অব লেবার (বিসিএল) এর উদ্যোগে ২৫ রমজানের মধ্যে এপ্রিলের বকেয়া বেতন, মে মাসের ১৫ দিনের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকুরীতে পুনঃবহালের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বিএসএল’র সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিসিএল’র কোষাধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন সহিদ, সদস্য মো. বাহারানে সুলতান বাহার, আলমগীর রনি, মো. ইলিয়াছ, মো. মোস্তফাসহ বিশিষ্ট শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ২৪ মে উদযাপন হবে। ঈদের আগে প্রতি বছরই ঈদ বোনাস নিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করে। করোনা ভাইরাসের আক্রমনে শ্রমিকরা যখন অর্ধাহারে-অনাহারে জীবনযাপন করছে, যখন ঠিকমতো মজুরী পাচ্ছে না, তখন এই করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে মালিকরা ইতিমধ্যে শ্রমিকদের বোনাস না দেওয়ার তালবাহানা শুরু করেছে। অনেক মালিক অযৌক্তিকভাবে কারখানা লে-অফ ও শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। যা শ্রম আইনের অপপ্রয়োগ ও অমানবিক। প্রতি বছর ঈদের আগে শ্রম মন্ত্রনালয়-মালিকরা সকল পোশাক শিল্প শ্রমিকের বেতন বোনাস না দিয়ে বকশিস হিসেবে কিছু টাকা দিয়ে আর আংশিক বেতন দিয়ে শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে। শ্রমিকদের তখন আর প্রতিবাদ করার সুযোগ থাকে না। প্রতিবাদ করলেও উৎসবের পুর্বে আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে সরকার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। নেতৃবৃন্দ আগামী ২৫ রমজানের মধ্যে সকল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারীদের এপ্রিলের বকেয়া বেতন, মে মাসের ১৫ দিনের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনঃমজুরীতে চাকুরীতে পুনঃবহালের আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা সংক্রমন এবং মৃত্যুতে বিশ^ব্যাপী মানুষ দুর্বিসহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশী অসহায়। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে কারখানা বন্ধ থাকলেও গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরীর জন্য সরকার মালিকদের ৫ হাজার কোটি টাকার প্যণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও শ্রমিকদের কত অংশ মজুরী দেওয়া হবে তা নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক ও সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। যা শ্রমিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু কিছু কারখানা খোলার কথা থাকলেও কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে মালিকরা ব্যাপকভাবে কারখানা চালু করেছে। এতে করে শ্রমিক ও তাদের পরিবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। করোনা ভাইরাসে অনেক শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছে এবং মারাও গেছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও মৃত্যুবরণকারী শ্রমিককে উপযুক্ত ক্ষতিপুরণসহ সকল দায়িত্ব মালিক পক্ষকেই নিতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :