গলাচিপায় তহশিল অফিস ও ইউপি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমির সীমানা বিরোধ সরেজমিনে জেলার দুই কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ১২ মে ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া তহশিল অফিস ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের জন্য জেলার এডিসি রেজিনিউ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য আলাদা করে জমি বরাদ্দ না থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চাহিদা মোতাবেক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুকূলে জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে তাঁরা যৌথভাবে মঙ্গবাল দুপুর সাড়ে ১২ টায় উলানিয়া তহশিল অফিসে এক সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

জানাগেছে, প্রায় পাঁচ দশক ধরে গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থানীয় তহশিল অফিসের জায়গায় (কাচারী বাড়ি) অবস্থিত। মোট এক একর ৭ শতাংশ তহশিল অফিসের জমি। এখানে মোট জমি রয়েছে এক একর ৭ শতাংশ। এর মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দখলে রয়েছে ৪০ শতাংশ। এছাড়া পরিত্যক্ত ৮ থেকে ১০ শতাংশ জমি রয়েছে। ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন তহশিল অফিস প্রায় পাঁচ দশক ধরে একই সীমানায় অবস্থান করে আসলেও তাদের দখলে রয়েছে ৪০ শতাংশ জমি। এ বিষয় গলাচিপা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গলাচিপা উপজেলার কয়েক দশক আগে গলাচিপা উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সরকারি খাস জমিতেই করা হয়েছে। বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত সমাধান হওয়াটা সকলেরই প্রত্যাশা।’ এ বিষয় এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে আলাদা কোন জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই।

এটা সম্পূর্ণটাই খাস খতিয়ানের জমি। দুটোই সরকারি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালের জমির প্রয়োজন হলে বন্দোবস্ত নিতে হবে এবং এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট আন্তরিক। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করা হবে।’ এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা সিলিসার্জন মো. জাহাঙ্গীর আলম, গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম, গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি দখল করে ভূমি অফিসের দেয়াল নির্মাণ নিয়ে দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। আর এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষেতে সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন জেলার দুই বিভিাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

আপনার মতামত লিখুন :