গলাচিপায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে আশা জাগিয়েছে কৃষকের

প্রকাশিত : ১২ মে ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: উপকুলীয় পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রাকৃতিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষকদের বার বার ফসলহানির ঘটনায় প্রায় স্বর্বশান্ত। জলবায়ুর পরিবর্তনের পাশাপাশি এ বার চাষাবাদের ধরনও পরিবর্তন করেছেন কৃষকরা। যে জমিতে বোরো ধান ও ডাল জাতীয় ফসল উৎপাদন করা হত। সেই জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।

এতে কৃষকের সূর্যমুখী চাষে নতুন আশা জাগিয়েছে। অপরদিকে, কৃষক বান্ধব সরকার স্বাস্থ্য সম্মত ভোজ্যতেল সরিষা ও সূর্যমুখী চাষে গুরুত্বরোপ করেছেন। পাশাপাশি উপজেলার কৃষি বিভাগ স‚র্যমুখীর বীজ বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দেওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের রতনদী, চরখালী গ্রামের মোসাঃ পারভীন জানান, গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করে লাভবান হয়েছেন।

এ বছর তিনি ১শ শতাংশ (১ হেক্টর) এবং একই গ্রামের জাকির চৌকিদার ৩০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের প্রচারনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করেন। সূর্যমুখী আবাদে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। মোসাঃ পারভীন বেগম জানান, গলাচিপা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন আমার ছেলেকে সূর্যমুখীর আবাদ করার কথা বলেন। আমার ছেলে আমার কাছে এসে বলায় আমি ও আমার স্বামী সূর্যমুখীর আবাদ করি।

সূর্যমুখীর আবাদ ভাল হওয়ায় আমাদের কষ্ট দূর হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম অলিউল্লাহ জানান, চাষাবাদের শুরুতে কৃষক স‚র্যমুখী চাষে আগ্রহ ছিল না। এ ভোজ্যতেল বীজ বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে স‚র্যমুখীর উৎপাদন আশানুরুপ হয়েছে। স‚র্যমুখীন উৎপাদন দেখে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে ভবিষতে এ তেল ফসল চাষ করার ব্যাপারে আশার সঞ্চার হয়েছে। স‚র্যমুখী হতে যাচ্ছে অন্যতম একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল।

 

আপনার মতামত লিখুন :