রাঙামাটি শহরে আগ্নিকাণ্ডে ১৪ বাড়ি পুড়ে ছাই
প্রকাশিত : ৯ মে ২০২০
রিমন পালিত, বান্দরবান: একটি প্রবাদ আছে, ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। এমনিতেই মানুষ কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অস্থির। এদিকে আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি ভাড়া বাসা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ শনিবার সকালে শহরের বির্জাভমূখ এলাকার সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম কলোনিতে এই অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এতে ৩টি কাচা পাকা বসত ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। এতে ১৪টি ভাড়াটিয়া পরিবার ছিল বলে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিস, পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রাণপণ চেষ্টা চালায়।
স্থানীয়রা জানান,সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে এবং মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন দিলে রাঙ্গামাটি ফায়ার ষ্টেশনের ২টি ইউনিট প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী চলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সূত্রে জানা গেছে,অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অগ্নিকাণ্ডে তারা সর্বহারা হয়ে পড়েছে। কিছুই বের করতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। স্থানীয়রা বলছেন আনুমানিক ২০-৩০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম জানান,তার ৩টি বড় আধপাকা বসত বাড়িতে মোট-১৪টি ভাড়াটিয়া পরিবার ছিল। সবার বসত ঘর পুড়ে গেছে। এত দ্রুত আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়েছে এতে কেউ কিছুই বের করতে পারেনি। তবে গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা জানান, গ্যাসের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেছি ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৮-৯লক্ষ টাকার মত হতে পারে। বাড়ির মালিক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম আমাদেরকে জানিয়েছেন তার বড় বড় ৩টি বাড়িতে প্রায় ১৪ পরিবার ভাড়াটিয়া ছিলেন সবার বসত ঘর পুড়ে গেছে।