কলাপাড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রনোদনা দিচ্ছে সরকার

প্রকাশিত : ৯ মে ২০২০
ছবি : সংগৃহীত

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,০৯ মে।। করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যবস্থাকে সচল রাখতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারের বিশেষ কৃষি প্রনোদনা বিতরন করা হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে কৃষি বিভাগ থেকে সরকারের বিশেষ প্রনোদনা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ কৃষি প্রনোদনা বিতরন করা হয়।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি কৃষককে ৫ কেজি উফশী জাতের আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার ও ১০ কেজি মিউরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) সার দেয়া হয়েছে। একজন ক্ষুদ্র কৃষক ১ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশ ধানের চাষাবাদ করতে পারবে। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের আউশ ধান চাষাবাদের জন্য ১২০০ কেজি উফশী জাতের আউশ ধানের বীজ বিনামূল্যে বিতরন করা হয়েছে।

এদিকে এবছর উপজেলায় ২৮৬১ হেক্টর জমি উফশী জাতের আউশ ধান চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আউশ ধানের চাষাবাদে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে ওঠায় চাষাবাদের এ লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পাশে থাকায় চ্যান্স ক্রোপ ও সুযোগী ফসল চাষাবাদে দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান বলেন, এ বছর কলাপাড়া উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী উফশী জাতের আউশ ধানের চাষাবাদ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আউশ ধানের চাষাবাদ শুরু করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিশেষ প্রনোদনার আওতায় আনা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকের স্বার্থে সরকার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রনোদনার ঘোষনা দিয়েছে। কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সরকার মাঠ পর্যায়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কাঙ্খিক মূল্যে ধান ক্রয় করছে। কৃষি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনে সরকারের এ প্রনোদনা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :