বই মেলায় অয়েজুল হকের চর্তূথ উপন্যাস- আজ আকাশে চাঁদ নেই

প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ধনীর দুলালী একমাত্র মেয়ে সদ্যস্নাত প্রস্ফুটিত একটি গোলাপের মত; অজান্তেই কাবুল নামক ভবঘুরে যুবকের প্রেমে পড়ে যায়।ধনী গরিবের ভেদাভেদ বাধা হয় সেখানে।কাবুলের সাথে মেঘলা পালিয়ে যেতেই নেমে আসে ঝড়।লেখক সেটাকে এভাবে তুলে ধরেছেন- এই বার্স্টাড চুপ। আর একটা কথাও বলবি না। বদমাশ আমাকে চিনিস না। তোর চৌদ্দগুষ্ঠিকে দেখে নেব।

 

কাবুলের প্রায় তের পুরুষ মাটির নিচে।বড়জোর দু’পুরুষকে দেখে নেওয়া যেতে পারে। বাকিদের দেখতে হলে কবর খুড়ে খুড়ে দেখতে হবে। এটাও সহজ কাজ নয়। বহু অনুসন্ধানের ব্যাপার আছে। কোথায় কে মরেছে। কোথায় কার কবর। কবরে বেচারা আছে নাকি মাটি হয়ে গেছে! কাবুলের বাবা আয়নাল নিতান্ত সহজ সরল একজন মানুষ।সদালাপী, বিনয়ী একজন মানুষ হিসাবে তিনি সবার কাছে পরিচিত। বাবা কোনদিন গালি দেওয়া যেমন শেখাননি তেমনি গালি শুনতেও তারা অভ্যস্থ নয়। তার পিতাকে তুলে মহিলার দেওয়া গালি একেবারে কলিজায় আঘাত করে কাবুলের। সাথে সাথে চোখ দুটো দিয়ে গড়িয়ে পড়ে দু’ফোটা অশ্রু বিন্দু। ওপাশ থেকে ফোনটা কেটে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষন কাঁদে। মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে পাল্টা ফোন করার সাহস হয়ে ওঠেনা কাবুলের। ও এক ভীতু মানুষ। ভীতু নাকি অসহায়! সমাজ ব্যবস্থায় প্রচলিত নিয়মের গন্ডি পেরিয়ে ক্ষমতাশীলদের ক্ষমতা ও প্রভাবকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। যেখানে দুটো মানুষ সুখী হতে চায় আপন ইচ্ছায়- সেখানে নাক না গলিয়ে যারা অসহায়, না খেয়ে মরে, দূর্বল আর আর কষ্টে আছে সেখানে গিয়ে তোমাদের ক্ষমতাকে কাজে লাগাও।

 

ভেতরকার চিৎকার গভীর জড়তায় আটকে যায়…………. এভাবেই চলতে থাকে উপন্যাস।সম্পদ প্রতিপত্তির দাপটে মেঘলার বাবা-মা সেটা মেনে নিতে না পারলেও নিখাদ ভালোবাসা যে ভোলার নয়। মেঘলা- কবুল ও পারেনা। আমেরিকা প্রবাসী ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয় মেঘলার। তার বুকের ভেতর সাজানো স্বপ্ন গুলো চুরমার হতে থাকে প্রতিমুহূর্তে। মেঘলার অবিরাম প্রচেষ্টায় বিয়ের দিন বর না আসায় মান রক্ষার জন্য মেঘলার বাবা-মা যখন কাবুল নামের ছেলেটাকেই মেনে নিতে চায় সে সময় কাবুল কে খুঁজে পাওয়া যায় না। কাবুল কোথায়! মেঘলার দিন রাত অন্ধকারে ছেয়ে যায়। হারিয়ে যায়, ডুবে যায় বুকের আকাশে উদিত চাঁদ। সে কী পাবে তার ভালোবাসার কাবুল কে? কোনদিন…… আজ আকাশে চাঁদ নেই মোহাম্মদ অয়েজুল হকের প্রকাশিত চর্তূথ উপন্যাস, সপ্তম গ্রন্থ।

 

এর আগে প্রকাশিত উপন্যাস – পথে পথে, রাক্ষুসে দিন রাত ও ছায়া সিমি। ২০১৯ সালে সাহিত্য দেশ থেকে প্রকাশিত হয় – লেখকের রম্যগল্প গ্রন্থ – গল্পের সাথে হেসেছিল গল্পগুলো। এছাড়াও অয়েজুল হকের সম্পাদনায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ – আকাশের স্বপ্ন গুলো ছুঁয়ে দেব। যৌথ কাব্যগ্রন্থ স্বপ্ন স্নান। সবগুলো বই পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডটকম, বইবাজার সহ বিভিন্ন অন লাইন বই বিক্রয় কেন্দ্রে। ২০২০ একুশে বইমেলায় পাওয়া যাবে – সাহিত্যদেশের-২৩৪,২৩৫ স্টলে। ঘরে বসে বই পেতে রকমারি লিঙ্কে ক্লিক করুন- ( রকমারি ডট কম ) ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখির সাথে জড়িত অয়েজুল হক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন ততকালীন জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন যায় যায় দিনে গল্প লেখেন। তারপর সাপ্তাহিক চলতিপত্রে প্রায় শতাধিক ছোট গল্প লেখেন। ধীরে ধীরে সাপ্তাহিক চলতিপত্রে মাথা গোল হকের কলাম নামে সমসাময়িক বিষয়ে নিয়মিত কলাম লেখা লেখা শুরু করেন।

 

দৈনিক ইনকিলাবের রম্য ম্যাগাজিন ইনকিলাব উপহারে প্রথম রম্য গল্প লেখা শুরু করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের ঠাট্টা, যুগান্তরের বিচ্ছু, সমকালের প্যাচআল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রকমারি রম্যতে প্রকাশিত হয়েছে হয়েছে লেখকের অসংখ্য রম্যগল্প। দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক সমকাল, দৈনিক নয়াদিগন্ত সহ অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকা, অন লাইন জনপ্রিয় নিউজ পোর্টালে নিয়মিত লিখছেন ছোট গল্প, প্রবন্ধ।

 

বিস্তারিত জানতে, লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন- ফেইসবুক আইডি : অয়েজুল হক

 

আপনার মতামত লিখুন :