করোনা যুদ্ধে নিরন্তর ছুটে চলছেন ডামুড্যার এসিল্যান্ড

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২০

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: সারাবিশ্বের ন্যায় দেশ জুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের আধিপত্য।যার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। ফলস্বরূপ সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।কিন্তু নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা না ভেবে হোম কোয়ারিন্টিন নিশ্চিত, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, দুস্থ ও অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো, বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষকে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত ও মানুষকে ঘরে ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন ডামুড্যার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রতিদিনই করোনার সাথে যুদ্ধ করে চলেছেন তিনি।

দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ করছেন তিনি। সকাল হলেই প্রতিদিন বেড়িয়ে পড়েন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। সারাদিন সচেতনতার কাজ করে রাতে ফেরেন বাসায়।এমনকি খবর পেলে রাতেও ছুটে চলেন এই সাহসী যোদ্ধা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কখনও পুলিশ সদস্য আবার কখনও সেচ্ছাসেবী সংগঠন অথবা একা নিজেই রাত-দিন মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন এই করোনা যোদ্ধা। জানা যায়, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৮৩ জনকে ৮৩টি মামলা দেওয়া এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ডামুড্যায় ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ জন মারা গেছে এবং বাকি দুইজন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯ টায় এসিল্যন্ডের দেখা মিললো ডামুড্যা বাজারে সাধারণ মানুষকে সচেতনতা করার লক্ষ্যে সচেতনতার মাইকিং করছে। মানুষকে বোঝাচ্ছেন তারা যেন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন। অযথা দোকানে ভিড় না করতে। শোনা যায় মুদি দোকান, ওষুধের দোকান, কৃষি পণ্যের দোকান, কাঁচা বাজারের দোকান খোলা থাকবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জয়ন্তী সমন্বয়কারী এনামুল হক ইমরান বলেন, ‘ডামুড্যার জনগণ অসচেতন। তিনি প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে পাড়া মহল্লায় হেঁটে হেঁটে জন সচেতনতা মূলক মাইকিং করেন। সরকারি বিধি নিষেধ না মানলে তাদের শাস্তি প্রদান করেন। নিজ স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা তাকে রেখে করোনারভাইরাস রোধের জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তার অবদান ডামুড্যাবাসী কোনদিন ভুলবে না।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জয়ন্তী পরিবারের সদস্য ইমরান হোসেন সবুজ বলেন, ডামুড্যার প্রতিটি ইউনিয়নে হেঁটে হেঁটে জন সচেতনতা মূলক মাইকিং করেন। সরকারি বিধি নিষেধ না মানলে তাদের শাস্তি প্রদান করেন। তিনি সত্যি প্রসংশার যোগ্য মানুষ।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলাবাসী যেভাবে নিরাপদে থাকবে তা আমরা করছি। এই করোনা যুদ্ধে শেষটুকু দিয়ে যেতে চাই। জনসাধারণকে সচেতন করতে পারলেই এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে পারবো। ঘরে যেতে ভয় হয়। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা তার দিকেও খেল রাখতে হয়। বাসায় গিয়ে বাহিরের সব জামা কাপড় পরিষ্কার করে দেই। তারপরও পিছপা হবো না। করোনা এই যুদ্ধে আমরা উপজেলার সকল মানুষকে নিয়ে জয়ী হবোই।

 

আপনার মতামত লিখুন :