হাওরাঞ্চলের ৬৫ ভাগ ধান কাটা শেষ: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২০

বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরের ধান কাটা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এসে এ কথা বলেন তিনি।কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাওরাঞ্চলে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে যা দেখে খুশি কৃষকরা। ধান উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের ৬৫ ভাগ ধান এ পর্যন্ত কাটা হয়েছে। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরের ধান কাটা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এসে এ কথা বলেন তিনি। এরপর তিনি সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুরে বোরা ধান সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, “সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা গভীর ও ঝূকিপূর্ণ। কিন্তু আনন্দের কথা সুনামগঞ্জ জেলায় ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী হাওরের প্রতি গুরুত্ব জাগিয়ে তোলায় অল্প সময়ে এবার ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। সবাই সচেতনভাবে ধান কাটছেন।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ছিল এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ। দুর্ভিক্ষের দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখানে ফসল নষ্ট হতো। কিন্তু আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এবারের বোরো ফসলও মাঠে। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি। দামও ভালো পাচ্ছে।”

হাওরে শ্রমিক সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, “করোনার কারণে বাইরের শ্রমিকরা এবার আসতে সমস্যা হয়েছে। আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশাসনের সহায়তায় শ্রমিক নিয়ে এসেছি। এখন হাওরাঞ্চলে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। ধানকাটা আরো ত্বরান্বিত করতে চারশটির বেশি কম্বাইন হার্ভেস্টর মেশিন মাঠে কাজ করছে যা ধান কাটছে দ্রুততার সঙ্গে। শ্রমিক কম। বাইরে থেকে শ্রমিক আনতে হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে এসেছি।”

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “প্রতি বছর হাওরে বজ্রপাতে শ্রমিক মারা যায়। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে সহায়তা দেন। শ্রমিকের পরিবার বড় হলে আরও বাড়াবেন। তাছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা থেকে কৃষক পর্যায়ে ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো যায় কিনা তা আগামীকাল সভায় আলোচনা হবে।”

এবার ধান সংগ্রহের অনিয়ম হবে না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “এ বছর ধান সংগ্রহ নিয়ে অনিয়ম হবেনা। কোন মধ্যসত্তভোগী আসার সুযোগ পাবেনা। আমরা ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক কৃষকের তালিকা করে দিয়েছি। এই তালিকা এদিক সেদিক করতে পারবেনা। ২২ টি জেলা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনা হবে। এবার ৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান চাষীর কাছ থেকে সরাসরি কিনব। ভালো দাম পাবেন। ন্যায্যমূল্য পাবেন কৃষক।”

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত প্রমুখ।

 

আপনার মতামত লিখুন :