গলাচিপায় মুগ ডালের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। মুগডাল চাষে সাফল্য উপক‚লীয় কৃষকরা জমিতে মুগডাল চাষে সফলতা এসেছে। এ চাষে ভালো ফলন দেখে এলাকার কৃষকদের মধ্যে মুগডাল চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। গলাচিপায় বাম্পার ফলনে ভরে উঠেছে মুগডালের ক্ষেত, যা ভুলিয়ে দিয়েছে কৃষকের ঘামঝরা শ্রমের কষ্ট। ছোট ছোট মুগডাল গাছের প্রতিটি ডগাতে যেন ফুটেছে কৃষকের হাসি।

সময় মতো বীজ, সার, ওষুধের সহায়তা, পরিচর্যা ও সরেজমিনে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সেবা ও পরামর্শ পাওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন চাষিরা। ক্ষেতে কাজ করছে কৃষক। কৃষক সোহেল, হেলাল, মনিররুল হক বলেন, ‘আমরা চরবিশ^াস ও চর কাজলে মুগডালের আবাদ করেছি। এখন ফসল তোলার সময়। এ এলাকায় সব মাঠে শুধু আমন চাষ হয় এবং বাকি সময় গরু-ছাগল চরে। চলতি বছরের শুরুতেই গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম সাইফুল্লাহ আমাদের এলাকায় এসে মুগডাল, তরমুজ চাষ করতে বলেন এবং আমাদের সার ও বীজ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

ফলে এ বছর মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ডাল তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাজারে ডালের দামও ভালো কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যোগাগোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় চাষীদের ডাল বিপননে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ক্রেতা সংঙ্কটে চাষীরা ডাল বিক্রি করতে পারছে না। ফলে বিপাকে পরেছেন তারা। চাষীরা সরকারের কাছে বিপনন ব্যবস্থা ও ডাল সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম সাইফুল্লাহ বলেন, মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপনন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় কৃষকরা ডাল বিক্রি করতে পারছে না। এতে কৃষকের সমস্যা হবে। তিনি আরো বলেন, ডাল সংরক্ষনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকরা উপকৃত হতো এবং তাদের বর্তমান ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠতে পারতো।

আপনার মতামত লিখুন :