ধানকাটা-মাড়াই সবই করে দিলো ছাত্রলীগ, খুশি কৃষকরা

প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০২০

গাজীপুরের কালীগঞ্জে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতারা। করোনা পরিস্থিতিতে ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় বর্তমানে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই কৃষকদের ভরসা। আর তাই কৃষকের ধান কাটা, বাড়ি নেয়া ও মাড়াই সবই করছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউপি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ধান কাটা শুরু হয়। তবে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ছাত্রলীগ যেমন খুশি, তেমনি ধান কেটে দেয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরাও।

কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বড়নগর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৪‘শ থেকে ৫‘শ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক পাওয়া যেত। করোনা পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আমাদের এই সংকটময় মুহূর্তে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে তা মাড়াই করে দিচ্ছে। একই কথা বললেন, পৌর এলাকার চান্দাইয়া গ্রামের কৃষক রাধে শ্যাম দাস।

কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ বলেন, ধান রোপন ও ধান কাটার সময় কৃষকরা এক ধরনের শ্রমিক সংকটে ভোগেন। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় এমপি মেহের আফরোজ চুমকির নির্দেশনায় ছাত্রলীগ ধান কাটছে, মাথায় করে বাড়ি নিচ্ছে, আবার মাড়াই করছে এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগ।

পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলী-আল-রাফু অমিত বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কালীগঞ্জে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক না পাওয়ায় নিজ জমির পাকা ধান কাটতে পারছেনা কৃষক। তাই সকাল থেকে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ধান কাটতে সহযোগিতা করছি। এ কার্যক্রম কৃষকরা ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত চলবে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ হাসান জানান, কালীগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেত্রী শান্তি কন্যা মেহের আফরোজ চুমকি এমপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার অন্তর্গত সব সাংগঠনিক ইউনিট এবং কর্মী সমর্থকরা নিজ নিজ এলাকায় কৃষকদের ধান কাটা, বাড়ি নেয়া ও মাড়াই করায় সহযোগিতা করছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, বাংলাদেশের সব সংকটেই ছাত্রলীগ এগিয়ে এসেছে। আর এ দেশের ইতিহাস সে কথাই বলে। দেশের এই করোনা মহামারিতে স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় উপজেলা, পৌর, ইউপি ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এগিয়ে আসছে যা আমাদের আশার আলো দেখায়।

আপনার মতামত লিখুন :