ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মিরপুর এলাকা

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে একদিনে এটাই সবোর্চ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮৩৮ জনে। মারা গেছেন মোট ৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে সুস্থ্য হয়ে ফিরে গেছেন মোট ৫৮ জন।

শুক্রবার দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য জানান। এদিকে আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী। আক্রান্তদের ৪৬ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া ২০ শতাংশ বাসিন্দা নারায়নগঞ্জের। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মিরপুর এলাকা, যেখানে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১১ শতাংশ রোগী রয়েছেন। এছাড়া মোহাম্মদপুর, ওয়ারি এবং যাত্রাবাড়িতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ শতাংশ করে। উত্তরা এবং ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ করে।

গাজীপুর, চট্টগ্রাম এবং মুন্সিগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যাও আগের চাইতে বেড়েছে। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৮% বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৩২% চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে। তবে তাদের সবার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন।যারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিতে পারতেন তারা নানা ধরণের সামাজিক চাপে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশে প্রথম ৮ই মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। সেই থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে প্রায় ৫০০ রোগীকে। এ পর্যন্ত ২৭ জন রোগীকে আইসিইউ সেবা দেয়া হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের ১.৮ শতাংশ। তবে করোনাভাইরাসের টেস্টিং বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় লকডাউন কার্যকরের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ১৯ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং ১৫ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

আপনার মতামত লিখুন :