সীমার মধ্যে থেকে কাজ করুন কূটনীতিকদের উদ্দেশে হানিফ

প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য তাদের অনুরোধ করছি। বিদেশিরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী তারা তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য বা হস্তক্ষেপ করবেন না। সীমার মধ্য থেকে যতটুকু বলা যায় ততটুকুই বলবেন।

 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। হানিফ আরও বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং নির্ভয়ে জনগণ ভোট দিতে পারবে। বিএনপি যতই চেষ্টা করুক যতই ষড়যন্ত্র করুক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান আছে। এর আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন শফিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

 

বৈঠক শেষে হানিফ বলেছিলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ এই দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। যার প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ‘আওয়ামী লীগ ভোট চলাকালে কেন্দ্র দখল করবে’- বিএনপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে হানিফ বলেছেন, তারা (বিএনপি) আসলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। তাদের কাজই বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। কেননা তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ইতোমধ্যে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনা তুলে ধরে হানিফ বলেন, এই ঘটনায় প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে এখনো তাদের সন্ত্রাসী মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। যদিও এটা কোনো কাজে আসবে না।

 

নির্বচনে ভোটার উপস্থিতির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সব নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছিল। তারা তখন বিভিন্ন স্থানে কিছু লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিয়ে এক আতঙ্ক তৈরি করেছিল। এ কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। হানিফ আরও বলেন, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেননা জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উৎসুক হয়ে আছেন।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :