কুয়াকাটা মেয়রের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগে অপপ্রচারে কাউন্সিলরদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল ২০২০

আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: কুয়াকাটা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে চাল চুরির অপপ্রচারে কাউন্সিলররা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ১১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পৌর সভার ১০ কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পৌর আ’লীগে অনুপ্রবেশকারী ও রাজনৈতিক একটি চক্র আগামী পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মেয়রের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গনমাধ্যম কর্মীদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে জেলেদের চাল চুরির মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

এতে পৌর মেয়রসহ কুয়াকাটা পৌরসভার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে, কুয়াকাটার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজ এমন মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ জানান। ওই ১০ কাউন্সিলর বলেন, আঃ বারেক মোল্লা শুধু কুয়াকাটার মেয়রই নন, আওয়ামী লীগের দূঃসময়ের একজন বন্ধু, সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ। বিএনপি,জামাত জোট সরকারের আমলে নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ আ’লীগকে আগলে রেখেছেন। তার রাজনৈতিক ৪০ বছরের জীবনে চাল চুরিতো দুরের কথা কোন প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার নজির নেই। বিপুল ভোটে তিনি লতাচাপলী ইউয়নের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহত্তম লতাচাপলী ইউনিয়নের পর পর তিন বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০১০ সালে কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি কুয়াকাটা পৌরসভার নির্বাচিত সফল মেয়র। দীর্ঘ সময় লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে দল পরিচালনা করে আসছেন। তিনি একজন জননন্দিত নেতা। গরীবের বন্ধু হিসেবে অত্র এলাকায় পরিচিতি রয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ব্যাপক সুনাম রয়েছে তার।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা যায়, কুয়াকাটা পৌর এলাকার জেলেদের জনপ্রতি ৮০ কেজি করে ৫’শ ৩০ কার্ডধারীর মধ্যে স্বচ্ছভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও বিতরনের দায়িত্বে নিয়োজিত তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গত ৬ এপ্রিল (সোমবার) ৫’শ ৮জন জেলের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। সাগরে মাছ শিকারে থাকায় ২২ জেলে ঐদিন উপস্থিত না থাকায় তাদের মধ্যে চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।

পরের দিন, ৭ই এপ্রিল (মঙ্গলবার) মৎস্য কর্মকর্তা, দারিদ্র বিমোচন (ট্যাগ অফিসার) কর্মকর্তার ও আমাদের কাউন্সিলরদের সামনে ঐ ২২ জেলের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণ শেষে সকল জেলের মাঝে স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা হযেছে মর্মে ৮জন পৌর কাউন্সিলর, মৎস্য কর্মকর্তা, ট্যাগ অফিসার স্বাক্ষরিত স্টক রেজিস্টার মেয়রের কাছে বুজিয়ে দেওয়া হয়। জেলেদের চাল কলাপাড়া খাদ্য গুদাম থেকে নিয়ে আসা এবং বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান কে।

এতে সহযোগিতা করেছেন ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন ফরাজী। চাল বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। সেখানে চুরি হওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। ষড়যন্ত্রকারীরা চাল বিতরণে মেয়রের কোন সম্পৃক্তা না থাকলেও রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চাল চুরির মিথ্যা ও বানোয়াট কল্প কাহিনী সাজিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এমন ঘৃন অপরাজনীতি বন্ধসহ ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে দ্রুত বিচারের দাবী জানান কাউন্সিলরগন ও স্থানীয় সুশীল সমাজ।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :