গলাচিপায় জাতীয় আইডি কার্ড দেখিয়ে ১০ টাকার চাল বিতরণ

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় কর্মসূচির (ওএমএস) চালের দাম কমিয়ে ১০ টাকা করেছে। সপ্তাহে তিন দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেসব এলাকায় বসবাস করেন, সেখানে চালগুলো বিক্রি করা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশে অসহায় মানুষের জন্য সপ্তাহে তিনদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পযন্ত ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে গলাচিপায়।

বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের সদর রোডে এ চাল বিক্রির উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহিন শাহ্ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম। পৌর এলাকার ৩টি স্থানে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করা হবে। সপ্তাহে রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই তিন দিন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রতিদিন দুই হাজার কর্মহীন লোকদের ১০ মেট্টিক টন করে চাল বিতরণ করা হবে। একজন মানুষ একবারে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। সপ্তাহে কেনা যাবে একবার।

আর চাল কেনার সময় দেখাতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। খাদ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় এ বিষয়গুলো জানিয়েছেন বলে ডিলাররা জানান। করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এ সময় শ্রমজীবী মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। তাঁদের আয় কমে গেছে। এর মধ্যে বাজারে মোটা চালের দাম বেশ বেড়ে গেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন মোটা চালের কেজি ৩৮ থেকে ৫০ টাকা, যা গত মাসের শুরুতে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির কথা বলেন।

খাদ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চাল ডিলার স্বদেশ শাহা জানান, বিক্রির সময় ক্রেতার বিস্তারিত তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরসহ) সংরক্ষণ করতে হবে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ক্রেতা হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। এ ছাড়া পরিবারের কেউ যদি খাদ্যবান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হন, তিনিও ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে পারবেন না। গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহিন শাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় হত দরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা দরে কেজিতে চাল দেয়ায় হত দরিদ্ররা খুশি।

তিনি ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, হত দরিদ্রদের কোনভাবেই চাল কম দেওয়া যাবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমান পরিস্থিতি মোকবেলায় কর্মহীন অসহায় মানুষেদের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :