দশমিনায় করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা প্রস্তুত

প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়েসহ দশটি বেট প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টায়। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এসেছে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা জানান, আমরা গত তিন দিনে ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে প্রেরণ করেছি।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইতিমধ্যে হাসপাতালের নতুন ভবনের ৩য় তলায় ও বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতালে পাঁচটি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কক্ষে পাঁচটি মোট দশটি বিছানা রয়েছে। কোনো রোগী না থাকলেও সেখানে একজন সেবিকা রয়েছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সামাল দেওয়ার জন্য নতুন ভবনের ৩য় তলায় ও বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশটি ভেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া জরুরি বিভাগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মুঠোফোনে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য।

আর কর্তব্যরত নার্সদের করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতামূলক ‘ব্রিফ’ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা ও আইসোলেশনের জন্য আলাদা আলাদা বেট ধোয়া মোছা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সেবিকার কক্ষ তদারকি রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনা নিয়ে আমরা সচেতন আছি, কিন্তু উদ্বিগ্ন নই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই পৃথক পৃথক দশ শয্যা রেডি করেছি। আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিয়মিত সেসব ওয়ার্ড পরিষ্কার করছে। এখনো কোনো রোগী পাইনি আমরা। ১৪জনের নমুনা সংগ্রহ করে পটুয়াখালীতে পাঠিয়েছি। তাদের রির্পোট ভালো। রোগী আশার সাথে সাথেই আমরা চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারব।

করোনা নির্ণয় ও তার চিকিৎসা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এটি সম্পূর্ণ একটি নতুন ভাইরাস আক্রমন, তাই সারা পৃথিবীর মত আমরাও কিছুটা ধোয়াশায় আছি। তবে যেহেতু জ্বর কাশি, শ্বাসকষ্ট করোনার প্রধান লক্ষণ, তাই আমরা বয়স্ক বা দীর্ঘদিন জ্বরে আক্রান্ত কোনো রোগী পেলে কিছুদিন নিবির পর্যবেক্ষণে রাখার চেষ্টা করছি, যদি দেখি রোগীর অবস্থা উন্নতি হচ্ছে না, তবে আমরা করোনা টেস্ট করার জন্য পদক্ষেপ নিব। তবে এটির উন্নত চিকিৎসা যেহেতু এখনো নিশ্চিত হয়নি, তাই রোগীকে আইসোলেশনে রেখেই আমরা চিকিৎসা দিব। তবে সবই নির্ভর করে, আমরা আদৌ কোনো করোনা রোগী পাব কিনা।

আপনার মতামত লিখুন :