ফতুল্লায় পাড়ামহল্লায় টিস্টলগুলোতে লোকসমাগমে ভীড় পুলিশ সেনাবাহিনীর টহল জোরদারের দাবী

প্রকাশিত : ৫ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লার লালপুর পৌষার পুকুর পাড় আল আমিন বাগ গাবতলী পাকিস্তানীখাদ ও কোতালেরবাগ রেল লাইন বটতলা ইসদাইর রেললাইনসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় লোকসমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ যেন সরকারের নিদের্শ তোয়াক্কা করছে না একশ্রেনী ব্যবসায়ী ও মহল্লাবাসী। মনে ঈদের আনন্দে আছেন ঐ মহল্লাবাসী চায়ের দোকানদারেরা। এসব এলাকায় পুলিশের টহল থাকলেও সচেতনতার অভাব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরা পুলিশ চলে গেলেই আবার চায়ের দোকান হোটেলসহ বেশ কিছু ব্যবসায়ী দোকান খুলে বসে। আবার কেহ কেহ এক সাটার নামিয়ে রাখে। পুলিশ দেখলেই এরা দোকান বন্ধ করে পাশে কোথাও চলে যায় আবার পুলিশ চলে গেলে এরা দোকান খুলে বসে আড্ডা দেয়। সরকার ঘোষিত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও কেহই মানছে না সরকারের জরুরী আইন।

এলাকা ঘুরে প্রত্যক্ষরা জানা যায়, ফতুল্লা মডেল থানা থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে ফতুল্লার চৌধুরীবাড়ি ও লালপুর সড়কটি। এই সড়কেই বেশি আড্ডা দেখা যায়। ফতুল্লা চৌধুরীবাড়ির পারিবারিক মিলায়তনের পাশেই দুইটি টি স্টল । এই টি স্টলগুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। এরপর দেলোয়ার প্রধান চেয়ারম্যানের ও এম.শওকত আলী চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এবং ব্রাজিল বাড়ির সামনে ,লালপুর নাদিমের দোকানের সামনে টিস্টলগুলো খোলা থাকে। আর এই টিস্টল ও হোটেলগুলোতে দেখা যায় ক্রেতা নামের আড্ডাবাজদের বাস স্থান। এরা হোম কোয়ারেন্টাইন করছে চায়ের দোকানে। ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ির যুব সমাজের উদ্যোগে দোকান পাট বন্ধ রাখতে নিষেধ করেন এবং মাইকিং করলেও মানছেনা তাদের আদেশ নিষেধ।

লালপুর পৌষার পুকুরপাড় প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান খোলা আর এই দোকান গুলোতে বসে আড্ডা দিচ্ছেন একশ্রেনীর মানুষ। যাদের বিবেক বিবেচনা বলতে কোন কিছুই নেই। একই দৃশ্য দেখা যায়, আল-অমিন বাগ গাবতলী রেললাইন বটতলা, পাকিস্তানী খাদ এবং কোতালেরবাগ ইসদাইর এলাকার অলিগলিতে। এলাকার স্থানীয় সরকারী দলের নেতা কর্মীরা যদি পুলিশের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে  না আসেন, তাহলে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করা সম্ভব হবে না বলে জানান এলাকার সচেতন মহল। এই এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল আশা করেন এলাকার সচেতন মহল।

 

আপনার মতামত লিখুন :