সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় সেই ডিসি-আরডিসিসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত : ১ এপ্রিল ২০২০

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি, আরডিসি, দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের। বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে নির্যাতনের ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), আরডিসি, দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় দায়ের করা হয়েছে।

গেল ১৩ই মার্চ মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্রস ফায়ার দেয়ার জন্য কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর ওপারে নিয়ে যাওয়া, পরে ডিসির নির্দেশে ফিরে নিয়ে এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনা ঘটে। পরদিন ১৪ই মার্চ তাকে জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়। ১৯শে মার্চ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার প্রতিনিধির মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদর থানায় এজাহারটি জমা দেন আরিফুল ইসলাম। কিন্তু তখন এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়নি।

পরবর্তীতে সাংবাদিক আরিফুল হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মোঃ রাশেদ জাহাঙ্গীর-এঁর অবকাশ কালীন দ্বৈত বেঞ্চ ২৫শে মার্চ সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনসহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ ও বর্বর নির্যাতনের এজাহারটি কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা হিসেবে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান জানান, ‘মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ছিল এবং আসামিরা অপরাপর সরকারি উচ্চ পদস্থ চাকুরিজীবী সেহেতু অধিকতর গুরুত্বে সাথে দেখা হচ্ছে। মামলার আসামিরা হলেন-কুড়িগ্রাম জেলা থেকে প্রত্যাহার সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর(আরডিসি) নাজিম উদ্দীন, সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহাকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এসএম রাহাতুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন সরকারি কর্মচারী।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার পর একে একে বের হয়ে আসতে থাকে আরডিসি নাজিমসহ আরো অনেকের নির্যাতনসহ নানা অপরাধের তথ্য। এরই পেক্ষিতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল কুড়িগ্রামের মানুষজন।

 

আপনার মতামত লিখুন :