হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল তরমুজ
প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২৫

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। মৌসুমি ফলের আরেক নাম তরমুজ। এ ফল সুস্বাদু, রসালো। তাই অনেকেই রোজা ভাঙেন তরমুজের শরবত দিয়ে। এছাড়া ইফতারে খাদ্য তালিকায় তরমুজের মতো ফল রাখছেন অনেকে। এদিকে ধীরে ধীরে শীতের আমেজ শেষে গরম পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রমজানের প্রাক্কালে তরমুজের দেখা মিলছে। একই সাথে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে তরমুজ বেচাকেনায় হাঁকডাক বাড়ছে। ফলের দোকানে কিংবা ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে রসালো এ ফল। রাস্তার পাশে আলদাভাবে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সাইজের এসব তরমুজ পথচারীদের নজর কাড়ে। অনেকে যানবাহন থামিয়ে কিনেছেন তরমুজ। বিভিন্ন জাত ও নানা আকারের তরমুজ বিক্রি করছে ব্যবসায়িরা।
ক্রেতা ওমর ফারুক জানান, তরমুজ তার অনেক পছন্দ। এ কারণে দাম যাই হোক, তিনি তরমুজ কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। অপর এক ক্রেতা জাকারিয়া বলেল,তরমুজের সাইজ ছোট। মূলত এগুলা সিজন শুরু হওয়ার আগে বাজারে এসছে। তবুও রোজার দিন ইফতারির জন্য একটা তরমুজ নিলাম। তবে পুরোপুরি মৌসুম না হওয়া পর্যন্ত খুব একটা স্বাদ হবে না তরমুজের।
বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ খানেক ধরে বাজারে আসতে শুরু করেছে তরমুজ। বর্তমানে বাজারে যে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, তা আকারে ছোট ও মাঝারি। এক একটির ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি। এগুলো কোনটা ২০০ টাকা, কোনটা ১৫০ টাকা, আবার কোনটা ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে তরমুজের বাজার এখনো জমে ওঠেনি। অল্প সময়ের মধ্যে তরমুজের আমদানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
বিক্রেতা আমিরুল গাজী বলেন, ক্ষেত থেকে পাইকারি দরে প্রায় ৪০০ তরমুজ কিনেছেন। চাহিদা থাকায় বাজারে ভালা দামে বিক্রি করছেন। অপর এক বিক্রেতা মনির মুন্সি বলেন, এখন তরমুজের সরবরাহ মোটামুটি রয়েছে। সামনে আরো বাড়বে।
এদিকে মিঠাগঞ্জ গ্রামের কৃষক খোকন শিকদার জানান, সে প্রথমবারের মতো ১৫ শতাংশ জমিতে ড্রাগন জাতের আগাম তরমুজ চাষ করেছেন। তার ক্ষেতের এক একটি তরমুজের ওজন হয়েছে ১২ থেকে ১৫ কেজি। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রিও করেছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি আরও ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.আরাফাত হোসাইন বলেন, এ বছর কলাপাড়ায় ৩৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকা ও রোগ বালাইর উপদ্রব কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের দেখা দিয়েছে। তবে কৃষকের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।