করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কুয়াকাটায় পর্যটক শূন্য: অর্থনীতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২০

উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,৩০ মার্চ।। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার দীর্ঘ সৈকতের বেলাভূমে নেই কোন পর্যটকের পদচারনা। বিরাজ করছে শুনশান নিরবতা। হোটেল মোটেল ব্যবসায়ী সহ ট্যুর অপারেটররা পার করছে অলস সময়। ব্যাপক অর্থনীতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। আর বেকার হয়ে পরেছে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। কোথাও নেই পর্যটকের কোলাহল। নেই আলোক সজ্জা। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চিরচেনা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এখন এমন দৃশ্য বিরাজ করছে।

এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উপকুলের জেলেরাও পরেছে বিপাকে। সমুদ্রে মাছধরা নিষিদ্ধ না থাকলেও ক্রেতা সংকটের কারনে মাছের দাম কমে গেছে। বাজারজাত করতে পারছেন না আড়তদারা। সরকারী নির্দেশনা ছাড়াই অধিকাংশ জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছে। এর ফলে বেকার হয়ে পরেছে সংশ্লিষ্ট শত শত শ্রমিক ও জেলেরা এমনাটাই জানিয়েছেন কুয়াকাটা আলীপুর মৎস আড়ৎ সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮মার্চ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কুয়াকাটায় সৈকতে পর্যটদের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেল সহ সকল বিনোদন কেন্দ্রগুলো। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকার জন্য আগত পর্যটকদের স্ব স্ব বাড়ি ফিরে যাওয়াার জন্য মাইকিং করেছেন সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। একই সঙ্গে সৈকতের সকল দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় হোটেল-মোটেলসহ খাবার রেষ্টুরেন্টগুলো বন্ধ রয়েছে। দু’একটি চায়ের দোকান খোলা থাকলেও ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশের ন্যায় কুয়াকাটাকে লক ডাউন করা হয়েছে।

আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক জিয়াউর রহমান শেখ বলেন, উপজেল প্রশাসনের নির্দেশনার পর আমাদের হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হোটেলের কর্মচারীদের ছুটি দেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ট্যুরিষ্ট গাইড, পর্যটন নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটররা সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্যুরিষ্টদের উপর নির্ভরশীল নিন্ম আয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালাবেন কিভাবে এনিয়ে দূঃচিন্তায় পরেছেন তারা। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন,জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পরই সকল আবাসিক হোটেল বন্ধ করে দিয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন :