কুয়াকাটায় অসহায় কর্মহীনদের বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে তরুণরা

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২০

আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় করোনা ভাইরাস আতংকে দিনমজুর,দুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ গুলো সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পরা এসব পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়েছে কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাব ও কুয়াকাটা তরুণ ক্লাব সদস্যরা। আবার কেউ কেউ ব্যক্তি উদ্যোগেও দূস্থ্য অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বাড়িতে পৌছে দিচ্ছে।

মানবেতর সেবায় এগিয়ে আসা এসব তরুনরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে। খুঁজে খঁজে অসহায় দুস্থ্য, মানুষিক ভারসাম্যহীন মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বাড়ি দিয়ে আসছে। অপ্রকৃতিস্থ মানসিক ভারসাম্যহীনদের মাঝে খাবার বিতরণ করছে। পৌর শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এসব সংগঠনের তরুণ সদস্যরা। পৌর সভার অর্থায়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেচ্ছাশ্রমে জীবানুনাশক স্প্রে করছে কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাব সদস্যরা। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব সেবা করছে তরুনরা। পাশাপাশি মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা ভাইরাস রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করছে। নিজেদের হাত খরচ বাচিঁয়ে মানবেতর সেবায় এগিয়ে আসা এসব তরুণ দেখে ধনবানরা মানবতার সেবায় উৎসাহিত বলে মনে করেন তরুণরা।

গত ২৮ মার্চ (শনিবার) সকাল ৮টায় কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র জনাব আব্দুল বারেক মোল্লা আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাব সদস্যদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করে। সেচ্ছাসেবী এ সংঘঠন দু’টির এসব তরুণদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা। তরুনদের এসব সামাজিক কাজে পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

শুভ সংঘ ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের ন্যায় কুয়াকাটাও করোনাভাইরাস আক্রমনের ঝুঁকির বাইরে নয়।এ ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে এজন্য তারা অসচেতন নিন্ম আয়ের মানুষদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। জীবানু নাশক স্প্রে করছে। জাহিদুল বলেন, এসব তারা করছেন নিজেদের নিরাপদ থাকা এবং মানবেতর সেবায়।

তরুন ক্লাবের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান,লকডাউনের কারনে কুয়াকাটায় দূস্থ্য ও অসহায় পরিবার কর্মহীন হয়ে পরেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে আমাদের সাধ্যমত খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আসছি। ইব্রাহিম আরো বলেন, লকডাউনের কারনে খাবার হোটেল গুলো বন্ধ থাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন অনেক মানুষ অনাহারে থাকছে। এদের খুঁজে খুঁজে খাবার তুলে দিচ্ছে তারা। এসব কাজ করছে তারা সচেতনতা এবং সতর্কতার সাথে। সংগঠনের তরুন সদস্যদের কাজ থেকে চাঁদা তুলে তাদের সাধ্যের মধ্যে থেকে অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে তারা।

আঃ বারেক মোল্লা বলেন, কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাব ও কুয়াকাটা তরুণ ক্লাবের সদস্যরা করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলা করে দূস্থ্য অসহায়,কর্মহীন মানুষদের বাড়ি গিয়ে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আসছে। অনাহারে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীনদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। মেয়র বলেন, তরুনদের এমন মানব সেবা থেকে বিত্তশালী ও শিল্পপতিরা মানবেতর সেবায় এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সচেতনতার সহিত সেবা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে পৌর মেয়র।

 

আপনার মতামত লিখুন :