বরিশালে তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণ, নিহত ২
প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৩

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী একটি ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন একজন ও আহত হয়েছেন তিনজন। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বরিশাল নগরীর চাঁদমারি খেয়াঘাটের অপর পারে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা এমভি এবাদি-১ জাহাজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জাহাজের ডেক-টেন্ডর সুমন সেন বলেন, ‘ট্যাংকারটি চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটার পেট্রোল ও ১০ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে দুদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে আসে। বরিশালের মেঘনা তেলের ডিপোতে এই তেল আজ (বৃহস্পতিবার) খালাস করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী স্টাফরা ইঞ্জিন রুমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে।’
জাহাজটিতে ১৬ জন স্টাফ রয়েছেন জানিয়ে সুমন সেন বলেন, ‘ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুম থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
বিস্ফোরণের এই ঘটনায় নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা স্বাধীন ও বাবুল কান্তি দাস। তাদের মধ্যে স্বাধীন ট্যাংকারের চিফ ড্রাইভার কুতুব উদ্দিনের ছেলে। ২২ বছর বয়সী এই তরুণ বেড়াতে এসেছিলেন। আহতরা হলেন- চিফ ড্রাইভার কুতুব উদ্দিন, দ্বিতীয় ড্রাইভার রুবেল ও কামাল। কাশেম নামে অপর একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, তারা খবর পেয়ে তিন মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে ইঞ্জিনরুমে কমপ্রেশার মেশিনে বিস্ফোরণের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি তদন্ত না করে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হতাহতদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করা হবে।