যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত : ১০ আগস্ট ২০২২

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী মো. জিয়াউর রহমান হাওলাদার (৩২) এর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিণ রনগোপালদী গ্রামের মো. আব্দুল হক হাওলাদারের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান হাওলাদারের সঙ্গে পাশবতী গলাচিপা উপজেলা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী রোডের মো.জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে লিমা বেগম (২৫) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।

বিয়ের পর হতে লিমা বেগমের বাবার বাড়ি হতে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী ও তার পরিবার। লিমা বেগমের বাবা-মা থেকে যৌতুক বাবদ টাকা আনতে অস্বীকার করলে স্বামী জিয়াউর রহমান হাওলাদার , শ্বশুর আব্দুল হক হাওলাদার , শাশুড়ি পিয়ারা বেগম,ফুফু শাশুড়ি মোনয়ারা বেগম দলবদ্ধ হয়ে প্রায়ই গৃহবধু লিমা বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে গলাচিপায় লিমার বাবা ও মায়ের কাছ হতে টাকা আনতে পূনরায় চাপ সৃষ্টি করে। লিমা বেগম টাকা আনতে অস্বীকার করিলে স্বামী জিয়াউর রহমান হাওলাদারগং তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এতে গুরুতর জখম হয় এবং মাথায় আঘাত লাগে।

লিমার বেগমের ডাক চিৎকারে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, আমার চিকিৎসাধীনে লিমা বেগম দ্বিতীয় তলায় ১৬ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো কালো দাগ আছে। এ বিষয়ে লিমা বেগমের মা মিনারা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ৫০ হাজার টাকা কাবিনে জিয়াউল রহমান হাওলাদার বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকেই আমার মেয়েকে প্রায়ই মারধর করে। মঙ্গলবার আমার মেয়েকে বেধম মারধর করলে স্থানীয়রা আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে। লিমার বাবাকে হাসপাতাল থেকে ফোনদিয়ে বললে তখন আমরা জানতে পাই।

আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে লিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী জিয়াউর রহমান হাওলাদার গত ১০ বছর পূর্বে তার সাথে আমার বিবাহ হয়। আমার একটি ১০ মাসের জিদনি নামে কন্য সন্তান আছে। জিয়াউর রহমান হাওলাদার ব্যবসা করার জন্য আমার মা বাবার কাজ থেকে আমি এক লক্ষ টাকা নিয়ে আশি। আমার স্বামী জিয়াউর মা বাবার কাজ থেকে আরও টাকা দিতে বলে।

আমি টাকা কোথায় পাব বললে সে তার বাবা মায়ের কুপরামর্শে আমাকে মারধর করে। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান হাওলাদার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওকে রাগের মাথায় দুটি থাপর মেরেছি। দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :