আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস।। পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা

প্রকাশিত : ২২ মার্চ ২০২০

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,২২ মার্চ।। বিশ্বব্যাপী এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এর ফলে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত এখন পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে এখন বিরাজ করছে শুনশান নিরবতা। পর্যটন স্পট গুলোও রয়েছে ফাঁকা। কোথাও নেই পর্যটকের কোলাহল। পর্যটক না থাকায় বন্ধ রয়েছে হোটেল-মোটেল খাবার রেষ্টুরেন্টগুলো। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে পর্যটকদের ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারনে এমন দৃশ্য কুয়াকাটার সৈকতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৮মার্চ) পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কুয়াকাটায় সৈকতে পর্যটদের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকার জন্য আগত পর্যটকদের স্ব স্ব বাড়ি ফিরে যাওয়াার জন্য মাইকিং করে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। একই সঙ্গে সৈকতের সকল দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকেই পর্যটক শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। পর্যটকদের ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় হোটেল-মোটেলসহ খাবার রেষ্টুরেন্টগুলো বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়িরা।

এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে চীনের উহান শহর থেকে মরণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দেড় শতাধিক দেশে। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। করোনা ভাইরাস জনিত কারনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ২ জনরে মৃত্যু হয়েছে। আর এই রোগে প্রায় ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। কুয়াকাটা সী ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস‘র পরিচালক জনি আলমগীর জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকতে মাইকিং করার পর সকল ট্যুরিজাম অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া এখন কুয়াকাটায় কোন পর্যটক নেই। তাদের ভ্রমন তরীগুলো ঘাটে বাঁধা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সমুদ্র বাড়ি রিসোর্ট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, উপজেল প্রশাসনের নির্দশনার পর আমাদের হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হোটেলের কর্মচারীদের ছুটি দেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকায় এই উদ্যোগ নিয়েছে কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ। এছাড়া হোটেল মোটেল গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলে কক্ষ বুকিং না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে হোটেল মালিকদের।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনিবুর রহমান জানায়, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সতর্ক অবস্থা জারি করেছে। তার অংশ হিসেবে সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কুয়াকাটায় সমগ্র দেশের মানুষের সমাগম হয়, সে কারনে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের গন্তব্যে যেতে বাধ্য করছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

 

আপনার মতামত লিখুন :