শরীয়তপুরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেছেন স্বামী
প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
শরীয়তপুরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেছেন স্বামী। এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতের বিচারক মো. নেজবাউল এ পরোয়ানা জারি করেন। আসামি স্ত্রী মাধবী সরকার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়ারী ইউনিয়নের বিশ্বজিত সরকার ও অর্চনা সরকার দম্পতির মেয়ে। তার স্বামী নয়ন দাস শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ গ্রামের নান্টু দাসের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১০ নভেম্বর শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে স্ত্রী মাধবীসহ তিনজনকে আসামী করে মামলা করেন স্বামী নয়ন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিন আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে আদালত। ২ ও ৩ নম্বর আসামি হাজির হলে তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। তবে ১ নম্বর আসামি মাধবী হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভালোবেসে ২০২০ সালের জুলাই মাসে মাধবী সরকারকে বিয়ে করেন নয়ন দাস। বিয়ের সাড়ে ৪ মাস পর থেকে নয়নকে যশোরে অথবা গোপালগঞ্জ শহরে বাড়ি করে দিতে চাপ দিতে থাকে মাধবীর পরিবার। স্ত্রীর নামে বাড়ি করে দিতে না পাড়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে কৌশলে মাধবীকে নিয়ে যান তার মা-বাবা। যৌতুক ছাড়া তাকে সংসারে ফেরাতে গত এক বছর ধরে নানা চেষ্টা করে আসছিলেন নয়নের পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও স্বামীর সংসারে ফিরে আসেনি স্ত্রী মাধবী সরকার।
গত ১০ নভেম্বর শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন তার স্বামী নয়ন দাস। মামলায় স্ত্রী মাধবী সরকার, তার মা অর্চনা সরকার ও বাবা বিশ্বজিত সরকারকে আসামি করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ডিসেম্বর অর্চনা ও বিশ্বজিত আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আর মাধবী হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বাদী নয়ন দাস বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করেও যৌতুক দিতে না পারায় গত এক বছর ধরে স্ত্রীর পরিবারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। মীমাংসার জন্য ওদের ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসলেও স্ত্রীর পরিবার গ্রাম্য আদালতের আদেশ মানেনি। অবশেষে যৌতুক ছাড়া সংসারে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু ওরা প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। আসামীরা যাওয়ার সময় মামলা প্রত্যাহার না করলে আমার খবর আছে বলে হুমকি দিয়ে গেছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাদী পক্ষের আইনজীবী মুরাদ হোসেন মুন্সি এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।