মালয়েশিয়ায় বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৭ নিখোঁজ ১০
প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া। প্রবল বর্ষণের কারণে জাহাজ চলাচলে বিঘ্নিত, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহতম বন্যায় অন্তত ৩৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বেশকিছু নারী ও শিশু রয়েছে।
ভয়ঙ্কর এই দুর্যোগে ১১ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছেড়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত দেশটির ছয়টি প্রদেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটেনি। এখনো বিভিন্ন অঞ্চলে পানি জমে থাকার খবর পাওয়া গেছে। যদিও রাজধানী কুয়ালালামপুরের পাশের রাজ্য সেলেঙ্গরসহ দুই থেকে তিনটি রাজ্যে বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দেশটির পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) অ্যাক্রিল সানি আব্দুল্লাহ সানি। মালয়েশিয়ায় ১৩টি প্রদেশের মধ্যে নয়টি প্রদেশই মাত্র ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আকস্মিক বন্যা প্লাবিত হয়। সৃষ্ট বন্যায় উপদ্বীপজুড়ে ১৮ হাজার ৮০টি পরিবারের ৬৮ হাজার ৩৪১ জন লোক গৃহহীন হয়েছে।
বর্তমানে বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থার ৬৬ হাজার কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার বন্যা দুর্গতদের জরুরি চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তার জন্য অসংখ্য অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্র (পিপিএস) এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। নয়টি রাজ্যের মধ্যে এই সাতটি রাজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেমন- কুয়ালালামপুর, পেরাক, সেলাঙ্গর, নেগ্রি সেম্বিলান, মেলাকা, পাহাং এবং কেলান্তান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে পাহাং।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, প্লাবিত এলাকার কিছু নদীর পানি বিপদ সীমার মধ্যে রয়েছে। আগামী দিনে আরও বন্যার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন।
আইজিপি আরও বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় চুরি ও লুটপাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের এ ধরনের কার্যকলাপে অবলম্বন না করে অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্রে (পিপিএস) আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেখানে খাবার এবং সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে খাবারের অভাবে একটি সুপারশপ থেকে পণ্য সামগ্রী লুটপাটের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।