শৈলকুপার কুমার নদীর নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রীজের অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ

প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার কুমার নদীর নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রীজের অভাবে ৫০ গ্রামের মানুে ষর দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। একসময় নদী কেন্দ্রিক ব্যবসার বন্দর ছিল নাগিরাট বাজার। নদীর নাব্যতা সংকটও একটি ব্রীজের অভাবে নাগিরাট বাজার তার যৌবন হারিয়েছে।এখানে একটি ব্রিজ এলাকার জনগনের দীর্ঘদিনের দাবী।নাগিরাট বাজারে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জনগনের দূর্ভোগ কমবে বলে এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছে। সরেজমিনে দেখা যায় নাগিরাট বাজারে বর্তমানে একটি খেয়া ঘাট রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জনসাধারন নদী পারাপারের জন্য নৌকা থাকলেও বর্তমানে পানি কমথাকার কারণে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সহ জনসাধারন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে বাঁশের সাকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পানিতে নদী পরিপূর্ণ হলে খেয়া নৌকা ছাড়া পার হবার কোনো উপায় থাকেনা।

 

প্রতি দিন এই ঘাট দিয়ে স্কুল,কলেজ,বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরাসহ হাজার হাজার জনসাধারন নদী পার হয়। ইতিপূর্বে এই ঘাট দিয়ে খেয়া নৌকা পার হতে গিয়ে মৃৃত্যেুর ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। জনসাধারণের মালামাল নিয়ে পার হতে হিসশিম খেতে হয়, রীতিমত গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে ঘাটটিতে ব্রিজ না থাকায়। এইঘাট দিয়ে নদীর উত্তরে দামুকদিয়া, মাধবপুর, দোহা-নাগিরাট, শিতালী,দলিলপুর, আওদা, কমলনগর, বগুড়া, লাঙ্গলবাঁধ, নন্দিরগাতি, ধাওড়া, ধলহরাচন্দ্র চরধলহরা, বরিয়া, ছাঁইভাঙ্গা, কুশবাড়িয়া, পাইকেনপাড়া, সহ আরো বেশ কিছু গ্রাম এবং দক্ষিণে রয়েড়া, আড়ুয়াকান্দি, ভান্ডারীপাড়া, বকশীপুর, শেখড়া, গোপালপুর, বাগুটিয়া, নাকোইল, ফলিয়া, রঘুনন্দনপুর, আশুরহাট, মনোহরপুর নিত্যানন্দপুর, সাবাসপুর, হাটফাজিলপুরসহ প্রায় ৫০ গ্রামের লোকজন পার হয়।

 

ব্রীজ না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, ১মণ মালামাল বাজারজাত করতে পরিবহন খরচ হয় ৫০-৬০ টাকা। অথচ ব্রিজ হলে তা ২০ টাকায় বাজারজাত সম্ভব বলে মনে করে ভুক্তভোগীরা। নাগিরাট গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষি অধ্যুষিত প্রায় ৪০-৫০ গ্রামের লোকজন চলাফেরা করেএই ঘাট দিয়ে, তাই জরুরি হয়ে পড়েছে নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রীজ। মাধবপুর গ্রামের ডা: মাসুদ ও তাপস বলেন, নাগিরাট বাজারে একটি ব্রিজ এখন সময়ের দাবী।এখানে একটি ব্রিজ হলে অবহেলিত ৪০-৫০ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। এ ব্যাপারে খেয়া ঘাটের দায়িত্বে থাকা পাটনি (মাঝি) লাড্ডু কুমার জানান তার বাপ দাদুরা নৌকায় জনসাধারন কে পারাপার করত আমরা সেটা ধরে রেখেছি। তবে সরকারিভাবে এ খেয়া ঘাট বন্ধোবস্ত নেওয়া হয় না। প্রতিদিন ২/৩শ টাকা আয় হয় তাতে কোনো রকম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবন যাপন করি। এলাকাবাসীরা নাগিরাট বাজারের খেয়া ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।

আপনার মতামত লিখুন :