বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জরায়ু ক্যান্সার নির্ণয়ক এইচপিভি ল্যাব এর শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত : ৬ অক্টোবর ২০২১

‘আমাদের অঙ্গীকার, থাকবে না আর জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার, নিরাপদে থাকবে নারী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বুধবার ৬ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে এইচপিভি ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করেছেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ডিএনএ টেস্টের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নারীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও নারীদের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা, মহিলাদের জরায়ু মুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর উদ্দেশ্যে কার্যকরভাবে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার নির্ণয়ের লক্ষ্যে এইচপিভি ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

এর আগে আজ বুধবার ৬ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখ সকাল ৯টায় বি ব্লকের সামনে গোলচক্করে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বেলুন উড়িয়ে ও সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুদের হাতে ফুল দিয়ে এবং উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি দিবস ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালির শুভ উদ্বোধন করেন। বিশ্বব্যাপী সেরিব্রাল পালসি বা সিপিতে আক্রান্ত শিশু ও ব্যক্তিবর্গের অধিকার, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বা সহজ প্রবেশাধিকার এবং সমান সুযোগ সুবিধা আদায় আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছর সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও পালিত হয় বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি (সিপি) দিবস। সেরিব্রাল পালসি মস্তিস্কের একটি স্থায়ী বা নন-প্রগ্রেসিভ ধরণের ¯œায়ুবিক ভারসাম্যহীনতা যা গর্ভাবস্থায় অথবা জন্ম পরবর্তীকালে শিশুদের মস্তিস্ক গঠনের সময়ে কোন প্রকার আঘাতজনিত কারণে হয়ে থাকে।

উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ, স্কুল সাইকোলজিস্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এ্যাডভাইসরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি জনাব সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজমে আক্রান্ত শিশুদেরকে নিয়ে সারা বিশ্বে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। জনাব সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দেশটাকে আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা জনাব সায়মা ওয়াজেদ এর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা, তারা বিশেষ শিশুদেরকে নিয়ে কাজ করছেন। চাকুরীতেও বিশেষ শিশুরা যখন বড় হবে, তাঁদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে। তাদেরকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু নিউরোলজি বিভাগে এবং ইপনাতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ শত বিশেষ রোগীকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেরিব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম, ইনটেলেকচুয়াল ডিসঅ্যাবিলটি ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। মাননীয় উপাচার্য বলেন, বিশেষ শিশুদের অভিভাবকদেরও একটা কষ্ট আছে। আমাদের সকলেরই তাঁদের প্রতি সহানুভূতি থাকা উচিত। বিশেষ শিশুদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর।

মহতী এই আয়োজনসমূহে সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং, নির্ণয় ও প্রশিক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা, গোপেন কুমার কুন্ডু, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছা, অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরিন, প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব ও সুব্রত বিশ্বাস। ছবি: আরিফ খান । নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।

আপনার মতামত লিখুন :