রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮ কোটি ডলার সাহায্য দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও ১৮ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, বুধবার এ তহবিলের ঘোষণা দেয় দেশটি।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সাহায্যের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার।

দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রমে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২০ কোটি ডলার সহায়তা গেছে। আরও বলেন, এ সংকটে মার্কিন মানবিক সহায়তা নানা ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা, আশ্রয়, দুর্যোগে সাড়া, পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি ইত্যাদি।

এ দিকে নিউইয়র্কে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অতি জরুরি’ ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরদার করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, এ সংকট প্রশ্নে প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশকে মর্মাহত করেছে। অথচ সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় তিনি বলেন, আমি বারবার বলেছি, তারা মিয়ানমারের নাগরিক। সুতরাং, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারেই ফিরে যেতে হবে।

একই সঙ্গে, ন্যায় বিচার এবং দেশে প্রত্যাবর্তনে ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দৃঢ় আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে নিপীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী তার প্রচারণা চালানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার এ ভাষণের প্রাক্কালে বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস : ইম্পারেটিভ ফর এ সাসটেইনাবল সলিউশন’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইউএনজিএ’র গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ আলোচনায় এ সংকট তুলে ধরতে ঢাকার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, বিগত চার বছর ধরে বাংলাদেশ অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করে রয়েছে যে বাস্তুহারা এসব মানুষ নিরাপদে এবং মর্যদা সহকারে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে।

তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও আমাদের আহ্বান অবহেলিত রয়ে গেছে এবং আমাদের প্রত্যাশা অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ সংকটের পঞ্চম বছর চলছে। এখনো, আমরা রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছি।

আপনার মতামত লিখুন :