বরিশালে তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে মডেল উদ্যোগ

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:  কোভিড-১৯ অতিমারীতে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অধিকার। তরুণদের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র মডেল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রতীকি যুব সংসদ ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম একশনএইড বাংলাদেশ। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নে উদ্যোগ বাস্তবায়নে কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চরবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মাহাতাব হোসেন সুরুজ। স্বাস্থ্য বিষয়ক ইউনিয়ন পরিষদ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি হাসিনা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ১৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন মো: আমিনুল ইসলাম (ফিরোজ মোস্তফা), সাব এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মলিনা রাণী বড়াল, ইউপি সদস্য রেহেনা বেগম প্রমুখ। কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রতীকি যুব সংসদের নির্বাহী প্রধান সোহানুর রহমান।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকারের অনেকগুলো প্রশংসনীয় উদ্যোগ রয়েছে। তবে করোনা অতিমারী নতুন চ্যলেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই অনেকক্ষেত্রে শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা তৈরীই যথেষ্ট নয়। সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় ও সেবাদানকারীদের জবাবদিহিতা তৈরীর মাধ্যমেই আইন ও নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

ইউপি সদস্য মোসাঃ রেহেনা বেগম জানান, তারা বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য কাজ করে থাকে কিন্তু বাবা-মা তাদের মেয়েদের অন্য এলাকায় আতœীয়দের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে থাকেন। করোনায় অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তাই তিনি মনে করেন কিশোর কিশোরীদের বাবা-মায়েদের জন্য আরো বেশি সচেতনতারমূলক  অধিবেশন আয়োজন করা প্রয়োজন, তেমনি গুরুত্ব দিতে হবে পরিবার পরিকল্পনায়ও।

কিশোর কিশোরী প্রতিনিধি অধরা শাহ্ অথৈ বলেন,করোনা কালীন সময়ে তাদের স্কুল এর স্যাটালাইট ক্লিনিক বন্ধ রাখা হয়েছে।তারা  যেহেতু করোনার মাঝেও এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে স্কুলে আসতে পেরেছে তখন সপ্তাহে একদিন তাদেরকে বললে তারা সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারতো। সেই সাথে তিনি আরো বলেছেন যে, বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে আইনের বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে।তার বান্ধবীর বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য আইনের সহায়তা চাইলেও পুলিশ প্রশাসন সেভাবে ব্যাপারটা গুরুত্ব দেননি।

সাব এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মলিনা রাণী বড়াল বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ২৪ ঘন্টাই প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য  সেবার জন্য খোলা রাখা হয়। এমন কি করোনাকালীন লকডাউনের সময়ও স্বাস্থ্য সেবা চলমান ছিলো। রোগীর চাপ বেশি থাকলেও প্রয়োজনমাফিক জনবল নেই। কিশোর কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্হ্য সেবা আরো ভালো ভাবে নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত জনবল একান্ত প্রয়োজন।

 

আপনার মতামত লিখুন :