হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কে যা জেনে রাখা দরকার সবার

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২০

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫ হাজারের বেশি। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪ হাজার ২১৪ জন। করোনা ভাইরাস সন্দেহে যে কাউকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্ত এই কোয়ারেন্টাইন কি? সেটা নিয়ে রয়েছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। তাই অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চান না।

কোয়ারেন্টাইন অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথক থাকা। তবে কোয়ারেন্টাইন মানে এই নয় যে, আপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়া হলো। যদি কোনো ব্যক্তির করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে এবং ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কিছুদিন আলাদা থাকতে বলা হয়। সিডিসি বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন করার কথা বলেছে। ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর থেকে রোগের পূর্ণ প্রকাশ হতে ১৪ দিন সময় লাগে। সে জন্য হোম কোয়ারেন্টিন করতে বলা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। হোম কোয়ারেন্টিন মানে আপনি থাকবেন নিজের বাড়িতে, কিন্তু যত দূর সম্ভব অন্য কারও সংস্রব বাঁচিয়ে।

হোম কোয়ারেন্টাইনে আপনি যা করবেন-

১.নিজের বেডরুমে থাকুন। একা থাকুন।
২.সম্ভব হলে নিজের আলাদা টয়লেট ব্যবহার করুন।
৩.নিজের তোয়ালে, গামছা, ব্যবহার করুন। নিজের বিছানা আলাদা রাখুন।
৪.যথাসম্ভব সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলুন, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
৫.যে কারও সামনে মাস্ক পরে থাকুন।
৬.অন্যের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।
৭.ঘন ঘন হাত ধুয়ে ফেলুন।

যেসব জায়গায় বারবার স্পর্শের সম্ভাবনা আছে, সেগুলো দিনশেষে ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে ফেলুন। যেমন দরজার হাতল, কম্পিউটার, ফোন, টয়লেট ইত্যাদি। হোম কোয়ারেন্টিন তাঁর জন্য, যিনি এখনো পজিটিভ হননি। কেউ পজিটিভ হয়ে থাকলে তাঁদের হাসপাতালে আলাদা করার নাম আইসোলেশন।

আপনার মতামত লিখুন :