পরীমনি ও রাজের বিরুদ্ধে হচ্ছে মাদক ও পর্নোগ্রাফি মামলা
প্রকাশিত : ৫ আগস্ট ২০২১
আলোচিত নায়িকা পরীমনির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করার পর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করছে র্যাব। এছাড়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে। র্যাব সূত্র জানায়, পরীমনি ও রাজসহ আটক চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এর মধ্যে পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি ও রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আটক বাকি দুজন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীও এসব মামলায় আসামি হবেন।
বুধবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসা থেকেও মাদক ও সিসার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। বুধবার রাতে র্যাব অভিযান শেষে পরীমনিকে আটক করে। আটকের পর তাকে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর সেখানেই রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরীমনিকে। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পরীমনির বাসায় অভিযানে যায় র্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বিষয়টি সবাইকে জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞাত বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছে। আমি ভয় পাচ্ছি। তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র্যাব তাদের পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হয়।
এরপর র্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন ও তল্লাশি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে নতুন মাদক এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদসহ পরীমনিকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নেওয়া হয়। অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব কর্মকর্তারা জানান, পরীমনির ড্রইংরুম, ডাইনিংরুম, বেডরুম এমনকি ওয়াশরুম থেকেও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাসাজুড়ে থরে থরে মদের বোতল রাখা ছিল। পরীমনির বাসার এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে মদ ছিল না। তার কাছে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কম আমদানি হয়।