ঘনকুয়াশায় চিন্তিত দশমিনার তরমুজ চাষি

প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনায় ঘনকুয়াশায় চিন্তিত হয়ে পরেছে তরমুজ চাষিরা। তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তিরবর্তী চর-বোরহান, রনগোপালদী ও দশমিনা ইউনিয়ানসহ বিভিন্নস্থানে বাঙ্গি, ক্ষীরা ও তরমুজ চাষিরা ঘনকুয়াশায় চিন্তিত। ফুলে-ফুলে ভরে গিয়ে তরমুজ গাছে ফল পড়তেও শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে আবাদও। সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে বাম্পার ফলনের। তবে সার-ওষুধের দাম বৃদ্ধি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন রবি ফসলের সঙ্গে চলতি মৌসুমে ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় ৫০হেক্টর কম। আর গত বছর আগেরবার আবহাওয়া অনুকলে না থাকায় লাভের মুখ দেখেননি তরমুজ চাষিরা। তেঁতুলিয়ার বুক চিরে জেগেওঠা চর-চরবোরহানে তরমুজ চাষের দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছেন তরমুজ চাষি।

স্থানীয় তরমুজ চাষি খলিল ও মাহাবুল গোলখালীর চরে প্রতি বছরের মত এ বছরও কয়েক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আর আমন ধান ওঠায় দেঁড়ি হওয়ায় চাষে কিছুটা পিছিয়ে পরেছি। ইতোমধ্যে তরমুজ গাছ বেড়ে ফুলে-ফুলে ভরে উঠতে শুরু করেছে । বীজ সংগ্রহে আগের মতো সিন্ডিকেটের কারসাজি না থাকলেও এখন বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। বিভিন্ন চরে এবার তরমুজের চাষ বেড়েছে। তারা আরও জানান, সার ওষুধ কিনে হয় বেশি দামে। জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে দিন দিন কৃষিতে বিপদ-আপদ বাড়ছে। ফাল্গুনেও ঘনকুয়াশা থাকে। তবে এ বছর গাছের ল²ন ভাল। রোগবালাই আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলন পাবো। তবে খরচ যাই হোক রোগবালাই আর অতিজোয়ার কিংবা শীলা-বৃষ্টির মতো বৈরী আবহাওয়া না হলে তরমুজের বাম্পার ফলনের আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বনি আমিন খান মুঠোফোনে জানান, নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে । এ সময়ের কুয়াশায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চাষিরা তরমুজের বাম্পার ফলন পাবেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :