অবশেষে কুয়াকাটার দেবালয় সম্পত্তি রক্ষার উদ্যোগ প্রশাসনের

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২১

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় রাখাইন সম্প্রদায়ের দেবালয় সম্পত্তি অবেশেষে রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের দরবার হলে স্থানীয় রাখাইনদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জগবন্ধু মন্ডল ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ পটুয়াখালী ও বরগুনার সভাপতি নিউ নিউ খেইনসহ স্থানীয় রাখাইনদের পাড়া প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় দেবালয় সম্পত্তির সিমানা চ‚ড়ান্তভাবে নির্ধারন না হওয়া পর্যন্ত সকল অবকাঠামো নির্মান কাজ বন্ধ ঘোষনা করা হয়।

রাখাইনদের স্থানীয় জানান, কুয়াকাটায় ৯৯ শতাংশ জমির উপর প্রায় ১শ‘ বছরের পুরাতন ২০ ফুট লম্বা শায়িত বৌদ্ধ মূর্তি আছে। দেবালয়ের এ সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কিছু অসাধু ভ‚মি দস্যু অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরী করে দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা এ সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরকে সোমবারের মধ্যে সকল কাগজপত্র উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) বরাবরে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে ওই এলাকার রাখাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ পটুয়াখালী ও বরগুনার সভাপতি নিউ নিউ খেইন বলেন, ভ‚মি দখলদারদের থাবায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রাখাইনদের ঐতিহ্য। এরই ধারাবাহিকতায় বেদখল হয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটার দেবালয় সম্পত্তি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেদখল হওয়া দেবালয় সম্পত্তি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের দরবার হলে স্থানীয় রাখাইনদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, রাখানইদের দেবালয়ের জমি চিহ্নিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সকল কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উভয় পক্ষের কাগজ পর্যবেক্ষন করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

উল্লেখ্য গত ১০ জুলাই রাতের আঁধারে কুয়াকাটায় রাখাইন সম্প্রদায়ের দেবালয় সম্পত্তি ও একটি হাউজিং কম্পানির জমিসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল চেষ্টা চালায়। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। পরে স্থানীয় রাখাইনরা জেলা প্রশাসকের কাছে দেবালয়ের জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :