সাপাহারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পৃথক স্থানে গরু-ছাগলের হাট

প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২১

হাফিজুল হক, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: করোনাকালে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর সাপাহারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পৃথক স্থানে গরু-ছাগলের হাট বসানো হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে উপজেলায় পশু বেচা-কেনার জন্য হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষে সদরের তাজপুরে ছাগলের হাট এবং তেঘরিয়া স্কুল মাঠে গরুর হাট দুই ভাগে বিভক্ত করে বসানো হয়েছে।

সরেজমিনে শনিবার বিকেলে উপজেলার তেঘরিয়া স্কুল মাঠে গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পশুর উপস্থিতি ছিলো পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সমাগমে ফুটে উঠে উৎসবের আমেজ। দাম সহনীয় থাকার ফলে পশুর বিক্রিও ভালো হয়েছে। শর্ত মোতাবেক হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের ক্ষেত্রে দেখাযায়, হাটের প্রবেশ পথে রাখা হয়েছে সাবান ও হাত ধোঁয়ার ব্যাবস্থা। হাটে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্কবিহীনদের দেওয়া হচ্ছে মাস্ক। প্রায় ৩০ ফিট দূরত্ব রেখে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে গরু বাধার জন্য রাখা হয়েছে ১২ টি পৃথক স্থান।

হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৩ টি স্বেচ্ছাসেবী টিমে প্রায় ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। কঠোর তদারকি ছিলো উপজেলা প্রশাসনের। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহরাব হোসেনের নের্তৃত্বে পরিচালনা করা হয়েছে মোবাইল কোর্ট। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মোবাইল কোর্টে ৩১ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে অর্থদন্ড। হাটে শারীরিক দূরত্ব শতভাগ নিশ্চিত করা না গেলেও প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষের মুখে ছিলো মাস্ক।

নজিপুর মহিলা কলেজের প্রভাষক শামীম ইমতিয়াজ রিমন বলেন, আমি কোরবানির জন্য পশু কিনতে হাটে এসেছি। একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন অন্যদিক মুসলমান ধর্মের সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে খুব চিন্তায় পড়তে হয়েছিলো। হাটে এসে প্রশাসনের তৎপরতা দেখে সে চিন্তা দুর হল। আশা করছি কোন রকম ঝুঁকি ছাড়াই কোরবানির পশু কিনে ঘরে ফিরতে পারবো।

হাট ইজারাদার আবুল কাশেম বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারনে হাট বন্ধ থাকায় অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটগুলো চালু থাকলে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই হাটগুলো চালু রাখার দাবী জানান তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে উম্মুক্ত স্থানে পশুর হাট চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাটগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন বলেও জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :