প্রধানমন্ত্রী দেয়া হতদরিদ্রদের মাঝে ঘর বরাদ্ধে অনিয়ম, আগামীকাল তদন্ত শুরু!

প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২১

মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প -২ এর অধিনে দ্বিতীয় ধাপে বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘর বরাদ্ধের অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কার্যক্রম আগামীকাল (রবিবার) জেলা ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তার কার্যালয়ে শুরু হবে।

জানাগেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প -২ এর অধিনে দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩৫০ জন অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে দূর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা ঘর বরাদ্ধ দেয়। ওই বরাদ্ধকৃত ঘরের মধ্য থেকে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে ২৫টি ঘর বরাদ্ধ দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান। বরাদ্ধকৃত ওই ঘরগুলো ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ হাওলাদার টাকার বিনিময়ে ধনাট্য ব্যক্তিদের নামে বরাদ্ধ দিয়েছে বলে একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন মোল্লা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে গত ১৩ জুন বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান জেলা ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মোঃ জামিউল হিকমাকে প্রধান করে ১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত ২০ জুন তদন্ত কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ হাওলাদার ও অভিযোগকারী ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন মোল্লাকে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। আগামীকাল (রবিবার) তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত কাজ শুরু হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন মোল্লা নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ হাওলাদার টাকার বিনিমিয় ধনাট্য ব্যক্তিদের নামে প্রধানমন্ত্রী দেয়া ঘর বরাদ্ধ দিয়েছেন। এ অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবরে আমি একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। আগামীকাল (রবিবার) সেই অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে। আমি যথাসময়ে তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকবো।

আঠারোগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ হাওলাদার তদন্ত কার্যক্রমের নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্নু করার জন্য একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। আমি আগামীকাল যথা সময়ে তদন্ত কার্যক্রমে উপস্থিত থাকবো।

বরগুনা জেলা ভূমি অধিগ্রহন অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জামিউল হিকমা মুঠোফোনে বলেন, আগামীকাল রবিবার আমার কার্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিযোগকারীকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :