সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা এনজিও স্বাস্থ্য-ব্যবসায়ীদের হাতে দেয়া চলবেনা! : জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ

প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২১

আজ ২৫ শে জুন সকাল ১১-৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহ্বায়ক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ডা. ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা এনজিও স্বাস্থ্য -ব্যবসায়ীদের হাতে দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.হারুন অর রশিদ, বাম গণতান্ত্রিক জোট সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু,নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা নেতা বিপ্লব ভট্টাচার্য ও জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ সংগঠক অনুপ কুন্ডু।

সমাবেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সভাপতি আল কাদেরী জয়,বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতা হেমন্ত দাষ,বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক,চারণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের জাকির হোসেন।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতি ডা ফয়জুল হাকিম বলেন,স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে স্বাস্থ্যকে অধিকার হিসাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী তুলতে হচ্ছে।দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে স্বাস্থ্য অধিকার হিসাবে এদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আশির দশকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবাখাতকে বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে সামরিক শাসক এরশাদ কুখ্যাত স্বাস্থ্য নীতি করেছিল।চিকিৎসক সমাজ ও জনগণের আন্দলোনের মুখে সেদিন তা বাতিল হয়েছিল।আজ হাসিনা সরকার সেই কাজ সম্পন্ন করতে সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা এনজিও স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত করছে।একে রুখে দাড়াতে হবে।

অধ্যাপক ডা হারুনর রশীদ করোনা মোকাবিলায় অবিলম্বে বাজেটে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে টিকা ক্রয় করে ১৮ উর্ধ সকলকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে টিকা দেয়ার জোর দাবী জানান।একই সংগে তিনি দেশে সরকারি উদ্যোগে টিকা উৎপাদন ও অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণেরও দাবী জানান।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন,জনগণকে সম্পৃক্ত না করে হাসিনা সরকার আমলা- ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর করে গত দেড় বছর ধরে কোভিড১৯ মোকাবিলার যে নীতি গ্রহণ করে চলেছে তা আজ বিপর্যয় ডেকে এনেছে। কঠোর শাট ডাউনে শ্রমিকদের কারখানায় রাখা হচ্ছে কেন প্রশ্ন তুলে তিনি শাট ডাউনে নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী জনগণকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তার দাবী জানান।

মোশাররফ হোসেন নান্নু সীমান্ত জেলাসহ সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবী জানিয়ে বলেন, জেলা- উপজেলা পর্যায়ে অক্সিজেনের ব্যবস্থা ও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিপ্লব ভট্টাচার্য জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে বলেন প্রয়োজনে মেগা প্রজেক্ট স্থগিত করে জনগণের জীবন ও জীবিকা বাচাতে হবে।

অনুপ কুন্ডু বলেন, বড় বড় সেতু ও সড়ক নির্মাণ উন্নয়নের মাপকাঠি হতে পারেনা।জনগণের অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা, জীবনযাত্রার মানের উপর নির্ভর করে উন্নয়নের আসল চেহারা।

 

আপনার মতামত লিখুন :