যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর সতর্কবার্তা দিলো তালেবান

প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২১

আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা অবস্থান করলে এর প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার আছে তালেবানের। কূটনীতিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটিতে ৬৫০ জন সৈন্য থেকে যাওয়ার প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এপি জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে মূল সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় ৬৫০ জন সৈন্য দেশটিতে রেখে দিবে ওয়াশিংটন। যদিও এতদিন যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে আসছিল হোয়াইট হাউজ।

ইতোমধ্যে অনেক সেনাকেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কাবুলে আর মার্কিন সেনা রাখতে চাইছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাই আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব মার্কিন সেনাকে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বেঁধে দেওয়া সময়ের পরও সাড়ে ছয়শ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থেকে যাওয়ার মন্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছে তালেবান।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর কোন মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে অবস্থান করলে এর প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার তালেবানের আছে। তিনি বলেন, আমেরিকা যদি তা করে তবে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ বন্ধে কাতারের দোহায় ২০২০ সালের ফেব্রয়ারিতে ওয়াশিংটন ও তালেবানের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা স্পষ্ট লঙ্ঘন হবে।

শাহীন সংবাদমাধ্যমটিকে আরও বলেন, আমেরিকার পক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে আলোচনার পর আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাই। সামরিক বাহিনী, উপদেষ্টা এবং ঠিকাদারদের প্রত্যাহার করে নিতে একমত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে তারা’। তার মতে, ‘ওয়াশিংটন এর ব্যতিক্রম কিছু করলে তা হবে চুক্তির লঙ্ঘন। আমরা পুরোপুরি জবাব দেওয়ার অধিকার রাখি’। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলছি। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে কোন হামলা করিনি’।

সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্যেই বিভিন্নস্থান দখল ও হামলার ঘটনা বেড়েছে। এমনকি আফগান-তাজিকিস্তানের প্রধান সীমান্তও দখলে নিয়েছে তালেবান গোষ্ঠী। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ জানিয়ে বলছে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবানের হামলা ও আক্রমণ আরও বাড়বে।

আপনার মতামত লিখুন :