ফেরিঘাট দেখে বোঝার উপায় নেই লকডাউন চলছে

প্রকাশিত : ৭ মে ২০২১

ঈদের আরও প্রায় এক সপ্তাহ বাকি। তারওপর চলছে লকডাউন। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন যাচ্ছে না। কিন্তু পাটুরিয়া ফেরিঘাট দেখে বোঝার উপায় নেই এর কোনোটাই। আজ শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মানুষ ও যানবাহনের উপচেপড়া ভিড়। তবে ব্যক্তিগত যানের চাপই বেশি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান জানান, একদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও অন্যদিকে সামনে ঈদ থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহন ছাড়া শুধু নদী পার হবেন এমন যাত্রীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ কারণে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ১৫টি ফেরি রয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে ভিড় বাড়ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। আজ ভোর থেকে এ মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে চাপ আরও বেড়ে যায়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় ছয়টি ছোট ফেরির পাশাপাশি চারটি বড় ফেরি পারাপারে নিয়োজিত রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা। চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী আব্দুল মজিদ জানান, পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আগে আগেই বাড়িতে যাচ্ছি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও যেতেই হবে। কারণ ঈদ একা ঢাকায় করতে পারবো না। বাবা, মা, ভাইবোন রয়েছে।

তিনি জানালেন, ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে এক বছর পরে যাচ্ছি। স্বাভাবিক সময়ের চাইতে পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া গুণে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। বিপ্লব হোসেন নামে কুষ্টিয়াগামী এক যাত্রী জানান, পরিজনের সঙ্গে দেখা হয় না ছয় মাস। বয়স্ক বাবাকে ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না। অসুস্থ বাবা শুধু আমার জন্য কাঁদেন। তাই শত ঝক্কি ঝামেলা উপেক্ষা করে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।

 

আপনার মতামত লিখুন :