মাটিতে বসে খাবার খাওয়ার বি’স্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা!

প্রকাশিত : ৭ মে ২০২১

গবেষণায় দেখা গেছে টেবিল-চেয়ারে বসে খাবার খেলে পে’ট ভরে ঠিকই, কিন্তু শ’রীরের কোনও মঙ্গল হয় না। বরং নানাবিধ রো’গে আক্রা’ন্ত হওয়ার আশ’ঙ্কা যায় বেড়ে। অন্যদিকে মাটিতে বাবু হয়ে বসে খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। সেই স’ঙ্গে শ’রীরও রো’গ মু’ক্ত হয়। বোল্ডস্কাই এর প্র’তিবেদন অনুযায়ী নিচে মাটি বসে খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধ’রা হলো।

মাটিতে বসে খেলে একাধিক আসন করা হয়: মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আম’রা নিজেদের অজান্তেই একাধিক আসন, যেমন- সুখাসন, সোয়াস্তিকাসন অথবা সিদ্ধাসন করে ফেলি। ফলে মাটিতে বসে খাওয়ার সময় পে’ট তো ভরেই সেই স’ঙ্গে শ’রীর ও মস্তিষ্ক, উভয়ই ভি’তর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

শ’রীর শক্তপোক্ত হয়: মাটিতে বসে খাওয়ার অভ্যাস করলে থাই, গোড়ালি এবং হাঁটুর ক’র্মক্ষ’মতা বৃ’দ্ধি পায়। সেই স’ঙ্গে শিরদাঁড়া, পেশি, কাঁধ এবং বুকের ফ্লেক্সিবিলিটিও বাড়ে। ফলে সার্বিকভাবে শ’রীরে সচলতা যেমন বৃ’দ্ধি পায়, তেমনি নানাবিধ রো’গও দূ’রে থাকে। হ’জম ক্ষ’মতার উন্নতি হয়: বাবু হয়ে বসে খেলে হ’জম ক্ষ’মতার উন্নতি হয়। তাই যাদের বদ হ’জমের স’মস্যা রয়েছে বা যারা প্রায়শই গ্যাসের স’মস্যায় ভো’গেন তাদের ভুলেও টেবিল চেয়ারে বসে খাওয়া উচিত নয়। পরিবর্তে মাটিতে বসে পাত পেরে খাওয়া উচিত। আ’সলে বাবু হয়ে বসে খাওয়ার সময় আম’রা কখনও আগে ঝুঁকে পরি, তো কখনও সোজা হয়ে বসি।

এমনটা বারে বারে করাতে হ’জম সহায়ক ডায়জেস্টিভ জুস’র ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে হ’জম প্রক্রিয়া খুব সুন্দরভাবে হতে থাকে। এখানেই শেষ নয়, মাটিতে বসে থাকার সময় আমাদের শিরদাঁড়ার নিচের অংশে চা’প পরে ফলে স্ট্রেস লেভেল কমে গিয়ে সারা শ’রীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

আয়ু বৃ’দ্ধি পায়: মাটিতে বসে খেলে শ’রীরের সচলতা বৃ’দ্ধি পায়। সেই স’ঙ্গে শ’রীরের অন্দরে কোনও ধ’রনের ক্ষয়-ক্ষ’তি হওয়ার আশ’ঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্র’কাশিত এক গবেষণা পত্রে বলা হয়েছিল যারা কোনও সাপোর্ট ছাড়া মাটিতে বসে থাকতে থাকতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরতে পারেন,

তাদের শ’রীরে ফ্লেক্সিবিলিটি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক অ’ঙ্গের ক’র্মক্ষ’মতার বৃ’দ্ধি ঘ’টে, ফলে স্বা’ভাবিক ভাবেই আয়ু বৃ’দ্ধি পায়। আর যারা এমনটা ক’রতে পারেন না, তাদের আয়ু অনেকাংশেই হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, এই গবেষণাটি ৫১-৮০ বছর বয়সীদের মধ্যে করা হয়েছিল।

ব্য’থা কমে: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আম’রা মূলত পদ্মাসনে বসে থাকি। এইভাবে বসার কারণে পিঠের, পেলভিসের এবং তল পে’টের পেশীর ক’র্মক্ষ’মতা বৃ’দ্ধি পায়। সেই স’ঙ্গে সারা শ’রীরের ক’র্মক্ষ’মতা এত মাত্রায় বৃ’দ্ধি পায় যে সব ধ’রনের য’ন্ত্রণা কমে যেতে সময় লাগে না।

ওজন কমে: মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আমাদের ভেগাস নার্ভের ক’র্মক্ষ’মতা বেড়ে যায়। ফলে পে’ট ভরে গেলে খুব সহজেই ব্রেনের কাছে সে খবর পৌঁছে যায়। ফলে অতিরি’ক্ত খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। এমনটা যত হতে থাকে তত ওজন বৃ’দ্ধির আশ’ঙ্কাও কমে।

প্রসঙ্গত, আমাদের পে’ট ভরেছে কিনা সেই খবর ব্রেনের কাছে পৌঁছালেই আমাদের খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। আর এই খবর মস্তিষ্ককে পাঠায় ভেগাস নার্ভ।

হার্টে ক’র্মক্ষ’মতা বৃ’দ্ধি পায়: হাঁটু মুড়ে বসে থাকাকালীন শ’রীরের উপরের অংশে র’ক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে হার্টে ক’র্মক্ষ’মতা বাড়তে শুরু করে। সেই স’ঙ্গে হ্রাস পায় কোনও ধ’রনের হার্টের রো’গে আক্রা’ন্ত হওয়ার আশ’ঙ্কাও।

সারা শ’রীরে র’ক্ত চলাচলের উন্নতি ঘ’টে: আমাদের শ’রীরকে সু’স্থ রাখতে প্রতিটি অ’ঙ্গে অক্সিজেন সমৃদ্ধ র’ক্ত পৌঁছে যাওয়াটা জ’রুরি। যত এমনটা হবে, তত রো’গের প্রকোপ কমবে। সেই স’ঙ্গে সার্বিকভাবে শ’রীরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। আর যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে বাবু হয়ে বসে থাকাকালীন সারা শ’রীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সমৃদ্ধ র’ক্তের চলাচল বেড়ে যায়।

স্ট্রেসের মাত্রা কমে: শুনতে আজব লাগলেও একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাটিতে বসে থাকলে শ’রীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্র’ভাবে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে মা’নসিক অবসাদ তো কমেই, সেই স’ঙ্গে স্ট্রেস এর মাত্রাও কমতে শুরু করে।

 

আপনার মতামত লিখুন :