দুই এস. আই ও এক সিপাহীর বিরুদ্ধে দশমিনায় সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২১

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর দশমিনায় মিথাইল অ্যালকোহল (উড স্পিরিট) ব্যবসায়ী মেসার্স সোহেল এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক মো. সোহেল আহম্মেদের কাছে ১ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবী করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেল কলাপাড়ার দুই এস.আই ও এক সিপাহীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ সংবাদ সম্মেলণ করেন।

লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, উপজেলার সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কে মেসার্স সোহেল এন্ড ব্রাদার্স’র পরিচালক মো. সোহেল আহম্মেদ ২০০৭ সাল থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিয়ে মিথাইল অ্যালকোহল (উড স্পিরিট) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে করোনা মাহামারি লগডাউনের কারনে ২০২০-২১ অর্থ বছরের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স নবায়নের জন্য টাকা জমার রশিদ ও লাইসেন্সের মূলকপিসহ পটুয়াখালী মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.মিজানুর রহমানের কাছে আবেদন করে রিসিভ কপি নিয়ে আসে। পরে মিজানুর রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে লইসেন্স নবায়নে গড়িমশি ও তালবাহানা শুরু করে।

এদিকে, পটুয়াখালীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেল কলাপাড়া চলতি বছরের ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় অভিযান চালায় মোঃ সোহেল আহম্মেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এ সময় লাইসেন্স নবায়ন হয়নি কারণ দেখিয়ে অভিযান পরিচালনাকারী এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, এ এসআই মোঃ রুহুল আমীন ও সিপাহী আবুল হাসান ১ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। উৎকোচের টাকা না দেয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দেখিয়ে গ্রেফতার করে দশমিনা থানার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করেন। পরের দিন উপযুক্ত কাগজ পত্রাদি দেখিয়ে দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসে। জামিনে বেড়িয়ে কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসে কাগজপত্র আনতে গেলে পুনরায় আবার টাকা দাবি করে মো. সোহেলের কাছে। এ ঘটনায় সংক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল আহম্মেদ অবৈধভাবে অভিযান পরিচালনা, দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় গ্রেফতার করে সম্মানহানির ঘটনায় ওই কর্তকর্তাদের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

অভিযান পরিচালনাকারী এসআই ও মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান উৎকোচ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এ সংবাদদাতাকে জানান, মো. সোহেল আহম্মেদ’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন লাইসেন্স পাওয়া যায়নি বা দেখাতে পারেনি কাগজপত্র ছারা আদালত কি ভাবে জমিন দিছে আমি জানিনা। অভিযোগের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, মেসার্স সোহেল এন্ড ব্রাদার্স এর লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। আদালত থেকে বেড়িয়ে টাকা জমা দেয়া ও নবায়নের আবেদনের বিষয়টি আমাকে ফোনে জানিয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় আমি ছিলাম না টাকা পয়সা দাবীর বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

 

আপনার মতামত লিখুন :