রাজনগরে মন্দিরের নাম ফলক ভাংচুর, ৪ ঘন্টা বৈঠক শেষে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমিত

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২১

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: রাজনগরের কামারচাক তারাপাশা বিষ্ণুপদ ধাম মন্দিরের নাম ফলক, মন্দিরের ভিতরে অলিলা সাইনবোর্ড ও সভাপতিকে মারধরের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াঙ্কা পালের হস্তক্ষেপে প্রশমিত হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াঙ্কা পাল, রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবুল হাশেম ও মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে মন্দিরে দীর্ঘ ৪ঘন্টা ব্যাপি বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহŸায়ক ও পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জন ভট্রাচার্য্যকে সদস্য সচিব করে ২০ সদস্য বিশিস্ট আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এবং বর্তমান কমিটি নতুন কমিটি করার পূর্ব পর্যন্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে বলে সিন্ধান্ত হয়েছে। রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগে সুত্রে জানা যায়- গত ৮ এপ্রিল ৭নং কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিম, শিবুল দত্ত, সঞ্জয় দত্ত, সনাতন দে (শাওন )সহ ৩০ /৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে মন্দিরের নাম ফলক ও অলিলা নামের একটি সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। হঠাৎ করে এ ঘটনার কারন জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, মন্দিরের বর্তমান কমিটিকে মানবে না নতুন কমিটি গঠন করবে। সভাপতি মন্দির কমিটির মেয়াদ আরো ৮ মাস রয়েছে বলে প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা গলায় ছুরি ধরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং মারধোর করেন। ঘটনা জনাজানি হলে এলাকায় চরম উওেজনা বিরাজ করতে থাকে। রাজনগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম বলেন- কমিটি নিয়ে এখানে একটি বিরোধ চলে আসছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বৈঠকে বসে রাজনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক ও পুজা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জনকে সদস্য সচিব করে ২০ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। পূর্বের কমিটি ও গত ৮ এপ্রিল করা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াঙ্কা পাল বলেন, বিষ্ণুপদ ধাম মন্দিরের কমিটি নিয়ে জটিলতা তৈরী হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক ও পুজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জনকে সদস্য সচিব করে আহব্বায়ক কমিটি ঘোষনা করেছি।

পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা পর্যন্ত এ কমিটি সকল দায়িত্ব পালন করবে। বিষ্ণুপদ ধাম মন্দিরের নাম ফলক, মন্দিরের ভিতরে অলিলা সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলা ও মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান- রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :