স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে মৈত্রী ফুটবল ম্যাচ

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২১

বাবা হারু গোপাল ব্যানার্জি যৌথবাহিনীর হয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য হারু গোপাল গত হয়েছেন অনেকদিন আগেই। তবে বাবার মুখে শোনা সেই যুদ্ধের গল্প আজও মেয়ে সীমা আচার্যের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। শুক্রবার বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার করিমপুর থানা শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হল বিজিবি-বিএসএফ মৈত্রী ফুটবল ম্যাচ।

বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএসএফ এ ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে খেলা। মেসের উদ্বোধন করেন ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খেলা দেখতে এসে পঞ্চাশোর্ধ সীমা আচার্য যেন আবেগাপ্লুত। বাংলাদেশি মানুষদের কাছে পেয়ে বহু বছর আগে বাবার মুখে শোনা গল্পের ঝাঁপি খুলে যায় সিমার। তিনি বলেন এই খেলার মাধ্যমে দু’দেশের বন্ধন যেন আরো সুদৃঢ় হয়। খেলা দেখতে এসে একই অনুভূতি ব্যক্ত করলেন কলেজছাত্রী রানু মন্ডল।

তিনি বলেন পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশের মানুষ একই ভাষায় কথা বলে। কাঁটাতারের বেড়া তাদের দুই ভাগ করে দিলেও হৃদয়ের বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি। মৈত্রী ফুটবল ম্যাচে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ তিন শূন্য গোলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি কে পরাজিত করে। তবে ম্যাচে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বিজিবি দলের গোলরক্ষক আকাশ আলী ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। খেলা শেষে উভয় দলের খেলোয়ারদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের আইজি পি এস বিএসএফের, বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জিয়া সাদাত খান, ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরহাদ হারুন চৌধুরী, বিজিবি লজিস্টিক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মালেক। অনুষ্ঠানে বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের আইজি বলেন, বাংলাদেশে আজ ৫০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে।

মাত্র ৫০ বছরে এই দেশটি একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নে আজ দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। ভবিষ্যতে দু’দেশের মধ্যে বিশেষ করে বিজিবি ও বিএসএফের সম্পর্কোন্নয়নে মৈত্রী ফুটবল ম্যাচের মতো খেলাধুলার আয়োজন করার ওপর জোর দেন তিনি।

 

আপনার মতামত লিখুন :