আ’লীগ নেতার জামিন নাকচে বিচারককে স্ট্যান্ড রিলিজ

প্রকাশিত : ৩ মার্চ ২০২০

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা তিন মামলায় পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। পাঁচ ঘণ্টা পরই ভারপ্রাপ্ত জেলা জজের দায়িত্বপ্রাপ্ত নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

সকালে জামিন নাকচ করায় বিকেলে বিচারক প্রত্যাহার, অতঃপর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিয়োগ করে ওই আদালতে থেকে আসামিদের মুক্তির ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন মামলা সংশ্লিষ্ট বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পৃথকভাবে তিনটি মামলা করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর।

সেই মামলায় উচ্চ আদালতের ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হন তারা। পুনরায় করেন জামিন আবেদন। এ সময় বিচারক মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ রায় ঘোষণার পর আদালত পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। জামিন নাকচের পরপরই স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয় জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে। এর পাঁচ ঘণ্টা পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজের দায়িত্ব দেয়া হয় নাহিদ নাসরিনকে। সাথে সাথেই আউয়াল দম্পতিকে জামিন দেন তিনি।

আসামীদের জামিনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এভাবে দুর্নীতির মামলায় জামিন দেয়া কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার দায়রা জজ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।

আপনার মতামত লিখুন :