পাপিয়ার কর্মকাণ্ডের নতুন তথ্য দিল তায়্যিবা

প্রকাশিত : ১ মার্চ ২০২০

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামীর পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন পাপিয়ার সহযোগী তায়্যিবা। তায়্যিবা ডিবিকে জানিয়েছেন, অনেক সময় চাহিদা মতো থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ভুটান ও রাশিয়া থেকে মেয়েদের নিয়ে আসা হতো। এছাড়াও পার্বত্য অঞ্চল থেকেও পাহাড়ি মেয়েদের নিয়ে আসতেন পাপিয়া। পাপিয়া সম্পর্কে র‌্যাব জানতে পেরেছে, মূলত গ্রাম থেকে কাজের কথা বলে ঢাকায় এনে মেয়েদের দিয়ে অবৈধ কার্যকলাপ করানোই ছিল তার পেশা।

এর মাধ্যমে সমাজের উচ্চ শ্রেণির লোকদের ব্ল্যাকমেইলও করতেন পাপিয়া। পাপিয়া রেলওয়ে ও পুলিশের এসআইতে চাকরির প্রলোভনে ১১ লাখ টাকা, একটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা, সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকা নেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। র‌্যাব ১-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, পাপিয়ার আয়কর ফাইল তলব করে দেখা গেছে, সেখানে তিনি বছরে ২২ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন। অথচ তার প্রতিদিন বারের বিলই আসত আড়াই লাখ টাকা। এত টাকার উৎস কোথায়?

জানতে চাইলে পাপিয়া র‌্যাবকে জানিয়েছেন, যারা হোটেলে আসতেন, তাদের কাছে মেয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। এরপর ভিডিও ধারণ করে ওই সব ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হতো। লোকলজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলত না। পাপিয়ার কারবারে জড়িত সাতজন উঠতি বয়সী তরুণীর সঙ্গে র‌্যাবের কথা বলা সম্ভব হয়েছে, যাদের মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন তিনি। তাদের কারও কারও ছবি বড়লোক কাস্টমারদের মুঠোফোনে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের আগ্রহ তৈরি করতেন পাপিয়া। র‌্যাব জানায়, দেশে স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি পাপিয়ার স্বামীর থাইল্যান্ডে বারের ব্যবসা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন।

আপনার মতামত লিখুন :