জ্বালাও পোড়াওয়ের দিন শেষ উন্নয়নের বাংলাদেশ: পরিকল্পনা মন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: কিছু লোক মনে প্রানে বাংলাদেশের ভালো চায়না। তাদের কারেণে ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত দিতে হয়েছিল। আওয়ামীলীগের কর্মী হওয়া গর্বের বিষয়। এখন জ্বালাও পোড়াওয়ের দিন শেষ উন্নয়নের বাংলাদেশ। ব্রীজ-কালভাটের উন্নয়ন করলে হবেনা। শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক সরকার স্বৈরতান্ত্রিক সরকার নয়। গায়ের জোরে কিছু করা যায়না। গায়ের জোরে কাজ করে স্বৈরশাসক। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট ৬ লেন সড়ক নির্মাণ করছে। সড়কটি আধুনিক ও বিশ্বমানের হবে।

এই সড়কের ১৭ কিলোমিটার ফ্লাইওভার সহ মধ্যখানে ডিভাইডার হবে। সড়কের পাশাপাশি ডাবল রেললাইন স্থাপন করা হবে। পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলি নদীতে সুরঙ্গ পথের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তিনি গত ১৯ ফেব্রæয়ারী মৌলভীবাজার পৌরসভা আয়োজিত প্রেসক্লাব চত্তরে কোদালীছড়ার উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে কম্পিউটার ট্রেনিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। তিনি আরও বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার টাকা করেছে, ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে চাল ও ঋণ সুবিধা দিয়েছে। দরিদ্রের ম্যাপ আছে, বিদ্যুতের ম্যাপ আছে, স্কুলের ম্যাপ আছে।

প্রত্যেক জেলায় পর্যায়ক্রমে যারা পিছিয়ে আছে তাদেরকে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কোন প্রকল্প নিলে সাধারণ মানুষের উপকার হয় কিনা সেটি প্রধানমন্ত্রীকে বুঝাতে হয়। বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা উচু সেগুলোতে পানির একটু সমস্যা হয়। আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই। আমাদের কাছে মনে হয় সকল সমস্যা এক দিনেই সমাধান করে দেই। কাজ শেষ করার অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ৫ বছর কি কাজ হবে সেটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা ব্যতীত কোন কাজ হয়না।কোদালীছড়ার মোট দৈর্ঘ্য পাহাড় বর্ষিজুড়া হতে হাইল হাওর পর্যন্ত ২১.৫৮ কিলোমিটার।

তার মধ্যে মৌলভীবাজার পৌরসভা এলাকায় কুদালীছড়ার দৈর্ঘ্য ৩.৯০ কিলোমিটার। এবং বর্তমানে কুদালীছড়ার উভয় পার্শ্বে টেন্ডারকৃত দৈর্ঘ্য (চেইনেজ ১.৩ কিলোমিটার- ৩.৯০ কিলোমিটার) ২.৬০ কিলোমিটার। মোট ৫টি প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪ কোটি, ৯৫ লক্ষ, ৮৯হাজার, ৭২৯ টাকা। আয়োজিত অনুষ্টানে পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমানে সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহীদ আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা। পরে মন্ত্রী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগদেন এবং প্রেসক্লাবের কমপ্লেক্স নির্মানে সহযোগীতার আস্বাস দেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :